ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণে কাউন্সিলরপ্রতি বরাদ্দ পৌনে ২ লাখ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, মে ২, ২০২১
শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণে কাউন্সিলরপ্রতি বরাদ্দ পৌনে ২ লাখ

ঢাকা: আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষদের মধ্যে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণের জন্য প্রত্যেক কাউন্সিলর পাচ্ছেন পৌনে দুই লাখ করে টাকা।  

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫০০ জন মানুষের মধ্যে এই শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করা হবে।

এছাড়াও করোনাকালে দুস্থ ও অসহায় মানুষদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের জন্য ৭২ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পাচ্ছেন এক লাখ করে টাকা।

রোববার (২ মে) এক অনলাইন সভায় যুক্ত হয়ে এসব তথ্য দেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।  

কোভিড-১৯ ও লকডাউন পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মো. জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে এই সভা আয়োজিত হয়।

সভায় ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জনকল্যাণমূলক সর্বাত্মক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
করোনাকালে দুস্থ ও অসহায় মানুষদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের জন্য ৭২ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে খাদ্যশস্যও বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ওয়ার্ড প্রতি ৫০০ জন অসহায়-হতদরিদ্র মানুষকে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণের জন্য ৭২ জন কাউন্সিলরের প্রত্যেককে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করে মোট এক কোটি ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

আতিকুল আরও বলেন, ডিএনসিসি এলাকার এক হাজার ৯০৭টি মসজিদের প্রত্যেক ইমামকে দুই হাজার টাকা ও প্রত্যেক মুয়াজ্জিনকে এক হাজার টাকা করে মোট ৫৭ লাখ ২১ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। ৩৩৩ ও হটলাইনের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তার জন্য ফোন করা অসহায় ও দুস্থ মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের জন্য ১০ জন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে শিশুদের জন্য নেওয়া বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম তুলে ধরে আতিকুল বলেন, খাদ্য সহায়তা বাবদ দুস্থ ও অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়া ৭ লাখ টাকা ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। শিশু খাদ্য ক্রয়পূর্বক বিতরণের জন্য একই মন্ত্রণালয় থেকে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়, ক্রয় প্রক্রিয়া শেষে অনতিবিলম্বে তা বিতরণ করা হবে।

করোনা মোকাবিলায় গৃহিত বেশকিছু পদক্ষেপ তুলে ধরে আতিক বলেন, ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক, ফুটপাত, ফুটওভারব্রিজ, গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল ও উন্মুক্ত স্থানে অদ্যাবধি মোট ৩৯ লক্ষ লিটার ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত তরল জীবাণুনাশক ছিটানো হয়েছে। ৭২ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরের মাধ্যমে ১০ লাখ মাস্ক, ১ লাখ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ১ লাখ ৫০ হাজার টি সাবান, ৫০ হাজার তিন স্তর বিশিষ্ট কাপড়ের মাস্ক, দুই হাজার বোতল লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ বিতরণ করা হচ্ছে। মহাখালীতে অবস্থিত "ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল" বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ করোনা হাসপাতাল। আগামী আমার পক্ষ থেকে হাসপাতালটিতে দুইটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি লাশবাহী ফ্রিজার ভ্যান হস্তান্তর করা হবে।

ভার্চ্যুয়াল সভায় সিটি কর্পোরেশনের মেয়ররা ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, সিনিয়র সচিব ও পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২১
এসএইচএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।