ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি, কারাগারে সৌমেন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২১
হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি, কারাগারে সৌমেন আদালতে সৌমেন

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া শহরে কাস্টমস মোড়ে প্রকাশ্যে গুলি করে মা ও শিশুসন্তানসহ তিনজনকে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন হত্যা মামলার একমাত্র আসামি পুলিশের এএসআই সৌমেন রায়।

সোমবার (১৪ জুন) দুপুর সোয়া ১টায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক নিশিকান্ত সরকার আসামি সৌমেন রায়কে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রেজাউল করিমের আদালতে হাজির করেন।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত পুলিশের পরিদর্শক সঞ্জয় রায় বলেন, অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল স্যারের খাস কামরায় দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা ধরে ট্রিপল মার্ডার মামলায় গ্রেফতার আসামি সৌমেন রায় হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।  

স্বীকারোক্তিতে তিনি জানান প্রধানত আসমা ও তার মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন থেকে সৃষ্ট ক্ষোভের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। আসামি সৌমেনের জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে নিহত আসমার মা কুমারখালী উপজেলার নাথুরিয়া গ্রামের আমির আলীর স্ত্রী হাসিনা খাতুন বাদী হয়ে মেয়ে ও নাতি হত্যার অভিযোগে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।

এদিকে নিহত আসমা খাতুন এএসআই সৌমেন রায়ের বিধিসম্মত বৈবাহিক স্ত্রী কিনা সে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিশিকান্ত সরকার।

সঞ্জয় রায় বলেন, আসমার পরিবার ও সৌমেনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে “সৌমেন রায় আসমা খাতুনের ৩য় স্বামী, আসমার সঙ্গে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া শিশু রবিন আসমার প্রথম স্বামীর সন্তান।

অন্যদিকে সৌমেন রায়ের বাড়িতে রয়েছে বিবাহিত স্ত্রী ও সন্তান। এই সব ঘটনাগুলির মধ্যে কার সঙ্গে কি ধরনের সম্পর্ক এবং টানাপড়েনই বা কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে যার কারণে এই হত্যাকাণ্ড, এর সবকিছুই বিবেচনায় নিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।

এছাড়া অন ডিউটি বা দাপ্তরিক অনুমোদন ছাড়া একজন পুলিশ সদস্য সরকারি অস্ত্র নিয়ে খুলনা থেকে কুষ্টিয়াতে এসে কিভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে? সে বিষয়ে কার কতটুকু দায় বা দায়িত্বে অবহেলা ছিলো তার সবকিছু খুঁটিনাটি বিশ্লেষণসহ তদন্ত করতে কুষ্টিয়া ও খুলনা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুস্তাফিজুর রহমান।  

আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

রোববার সকালে কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড়ে প্রকাশ্যে দাবিকৃত নিজের স্ত্রী ও শিশুসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যা করেন খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত পুলিশের এএসআই সৌমেন রায়। ওই ঘটনায় নিহতরা হলেন- কুমারখালী উপজেলার সাওতা গ্রামের বাসিন্দা মেজবার খানের ছেলে বিকাশ কর্মী শাকিল খান (২৮), নাথুরিয়া বাঁশগ্রামের বাসিন্দা আমির আলীর মেয়ে আসমা খাতুন (৩৪) ও নিহত আসমার শিশু সন্তান রবিন (৭)।

** কুষ্টিয়ায় ৩ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা
** কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে মা-ছেলেসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যা

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।