ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

গ্রাম-গঞ্জে টিকা নিশ্চিত করতে সরকারের দুই কমিটি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০১ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২১
গ্রাম-গঞ্জে টিকা নিশ্চিত করতে সরকারের দুই কমিটি

ঢাকা: গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজার, চায়ের দোকান বা জনসমাগম হয় এমন স্থানে ভিড় পরিহার এবং করোনা টিকা নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।  

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুটি কমিটির প্রতিটিতে ১৪ জন করে সদস্য রাখা হয়েছে।

 

দেশের সব জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) বুধবার চিঠি পাঠিয়ে এ নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

সরকার আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে গণটিকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র দেখালে ১৮ বছর বয়সী সবাইকেই টিকা দেওয়া হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের চিঠিতে বলা হয়, ‘গত ১০ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের আলোকে স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রীর সভাপতিত্বে গত ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত সভায় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিটি গঠন করে এ বিভাগকে অবহিত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

কমিটির কর্মপরিধিতে বলা হয়, ভ্যাকসিন গ্রহণে সর্বস্তরের জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণ, বয়স্ক ব্যক্তিদের ভ্যাক্সিনেশন সেন্টারে নিয়ে আসতে সহায়তা করা, কোভিড-১৯ সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের শরীরের তাপমাত্রা ও অক্সিজেন লেভেল পরীক্ষা করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উপজেলা হাসপাতালে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য পাঠানো ও শনাক্তকৃত ব্যক্তিদের আইসোলেশন বা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থাকরণ, কোভিড-১৯ সংক্রমিত ব্যক্তিদের আইসোলেশন, কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতকরণ এবং তাদের মাধ্যমে সেকেন্ডারি সংক্রমণ প্রতিরোধকরণ।

কমিটি দুটি সর্বস্তরের জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ও মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণ, হাট-বাজার, চায়ের দোকান বা জনসমাগম হয় এমন স্থানে ভিড় পরিহারের ব্যবস্থা গ্রহণ, সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন সহায়তা করা এবং স্বাস্থ্যবিধি পালন, মাস্ক ব্যবহার, ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম ইত্যাদি বিষয়ে এলাকার হাট-বাজারে ও অন্যান্য স্থানে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করবে।

ইউনিয়ন কমিটি:

ইউনিয়ন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে থাকছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এছাড়া সদস্য সচিব হিসেবে থাকছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সচিব।  

কমিটির সদস্য হবেন- মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক/স্থানীয় একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি, একজন বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, পরিবার কল্যাণ সহকারী, মাদ্রাসার একজন শিক্ষক, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত একজন এনজিও প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার, ইউনিয়নের অন্তর্গত বৃহত্তম হাট/বাজারের ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন প্রতিনিধি।

ওয়ার্ড কমিটি: 

ওয়ার্ড কমিটিতে সভাপতি থাকবেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্য। কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন- প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক/স্থানীয় একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি, একজন বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা, মাদ্রাসার একজন শিক্ষক, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য, ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত একজন এনজিও প্রতিনিধি, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, স্বাস্থ্য সহকারী, মসজিদের ইমাম, হাট/বাজারের ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন প্রতিনিধি, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোপাইটার, গ্রাম পুলিশ এবং আনসার-ভিডিপির একজন সদস্য।

কমিটি কাজের সুবিধার্থে এক বা একাধিক সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে জানিয়ে বলা হয়, সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে কমিটির সভাপতির মতামত প্রাধান্য পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২১
এমআইএইচ/আরআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।