ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

হত্যা মামলার আসামির সঙ্গে পরকীয়া, স্বীকৃতি পেতে গায়ে আগুন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
হত্যা মামলার আসামির সঙ্গে পরকীয়া, স্বীকৃতি পেতে গায়ে আগুন

নেত্রকোনা: নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় পরকীয়া প্রেমিকের বাড়ির উঠানে গিয়ে নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন হাবিবা আক্তার হোসনে আরা (২৭) নামের এক নারী।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়ন পরিষদের আটিগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত হাবিবা আক্তার হোসনে আরা ওই ইউপির ছেংজানা গ্রামের সুরুজ আলী মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সুত্রে জানা গেছে, আহত ওই নারী একাধিকবার বিয়ে হয়েছে। সম্প্রতি সান্দিকোনা ইউপির পাইমাস্কা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে জামাল মিয়ার সঙ্গে সর্বশেষ বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিনের মাথায় দাম্পত্যকলহ দেখা দিলে শেষ পর্যন্ত মামলা দায়ের করা হয় জামালের বিরুদ্ধে। মামলা হওয়ার পর জামাল মিয়া দেশের বাইরে চলে যান।

এদিকে, ওই নারীর মামলা সহায়তা করতে গিয়ে আটিগ্রাম গ্রামের দেলোয়ার ওরফে দিলু মিয়ার সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এদিকে দিলু মিয়া ৫ সন্তানের জনক। গত কোরবানি ঈদের পরে তিনি একটি হত্যা মামলায় আসামি হয়ে পলাতক ছিলেন। সবেমাত্র উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে বাড়িতে এসেছেন।

হাবিবা চট্টগ্রামে একটি পোশাক কারখানা চাকরি করতেন। দিলু বাড়িতে আসার খবর পেয়ে বুধবার সে বাড়িতে আসে এবং প্রেমের স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকালে দিলুর বাড়ি যান। বাড়ির উঠানে ঢুকে হাবিবা তার নিজের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে হাবিবার মুখমণ্ডল ও দুই হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। পরে বাড়ির অন্য সদস্যরা আগুন নিভিয়ে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে স্থানতর করে।

এদিকে ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মনিরুল ইসলাম, কেন্দুয়া সার্কেল এএসপির জোনাঈদ আফ্রাদ ও ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ।

আহত ওই নারীর আত্মীয় হামিদ বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে দেখি তাকে দগ্ধ অবস্থায় মমেক হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

দিলু মিয়ার বড় ভাই সোহাগ মিয়া জানান, ওই মহিলার সঙ্গে তার ভাইয়ের প্রেমের বিষয়টি তারা জানতেন না। হঠাৎ ওই নারী বাড়িতে উপস্থিত হয়ে নিজের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়েছেন। তার ভাইয়ের অপরাধ থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনা উচিত।

কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ আব্দুল্লাহ গালিব জোবায়ের বলেন, মহিলার মূখমন্ডল, দুই হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুরে গেছে। শরীরের ৩০ শতাংশের বেশি পুড়েছে।

কেন্দুয়া থানা ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ বলেন, হাবিবা জানিয়েছে- দিলু মিয়ার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। সম্প্রতি তাদের সম্পর্কের কিছুটা অবনতি ঘটেছে। যে কারনে তার প্রেমের স্বীকৃত আদায়ের জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১২
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।