ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বরগুনায় ভুয়া চিকিৎসক গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
বরগুনায় ভুয়া চিকিৎসক গ্রেফতার

বরগুনা: বরগুনায় সদর উপজেলায় মাসুম বিল্লাহ নামের এক ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

মাসুম বিল্লাহ নিজেকে এমসিএইচ (মা ও শিশু) ঢাকা শিশু হাসপাতাল , বি.এন.এম.সি,এফসিপিএস পরিচয় দিয়ে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন।

এছাড়া তার চিকিৎসায় ৯ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

শিশুটির পরিবারসূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার চার নম্বর ইউনিয়নের চালিতাতলী গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে ইয়ামিন (৯ মাস) জ্বর ও সর্দি কাশি জনিত অসুস্থ হওয়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য সাইদুলের স্ত্রী ও মা বরগুনার চাইল্ড কেয়ার সেন্টারে শিশু চিকিৎসক মাসুম বিল্লাহর কাছে নিয়ে যান। ভুয়া চিকিৎসক মাসুম বিল্লাহ তখন শিশুটিকে দেখে জরুরী ভিত্তিতে বিভিন্ন পরীক্ষা করানোর জন্য বলে।

পরে চিকিৎসক মাসুম বিল্লাহ পরীক্ষার প্রতিবেদন দেখে বলেন, শিশু ইয়ামিনের হার্টে সমস্যা আছে। ওই চিকিৎসক শিশুটিকে এক দিন পর পর নিজের চেম্বারে এসে চারটি ইনজেকশন করানোর কথা বলে। এবং গত রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটার দিকে নিজ হাতে একটি ইনজেকশন দিয়ে বাসায় নিয়ে ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী নিয়মিত ঔষধ সেবন করার পরামর্শ দেন ওই চিকিৎসক। ইনজেকশন দেওয়ার পর থেকেই শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। তারপর রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ওই চিকিৎসকের পরামর্শ মত ঔষধ সেবনের পর পরই খিচুনি দিয়ে শিশুটি মারা যায়।

শিশুটির বাবা সাইদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ওই চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ঔষধ খাওয়ানোর পরেই ইয়ামিনের পেট ফুলে-ফেঁপে ওঠে। কিছু সময় পরেই নিস্তেজ হয়ে পরে এবং খিচুনি দিয়ে মারা যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মেহেদী হাছান বলেন, ভুল চিকিৎসায় নয় মাসের শিশু ইয়ামিনের মৃত্যু অভিযোগে গতকাল রাতে মাসুম বিল্লাহ নামে এক গ্রাম্য চিকিৎসককে টাউন হল এলাকা থেকে বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ। দুপুরের পর ওই ডাক্তারকে আদালতের মাধ্যম জেলে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বরগুনা সিভিল সার্জন ডাক্তার মারিয়া হাসান মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে বলেন, মাসুম বিল্লাহকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত মাসুমের বিরুদ্ধে আগেও সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসকের যৌথ উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা ও রোগী দেখার চেম্বার সিলগালা করে দেওয়া হয়।  
তিনি আরও বলেন, স্থান পরিবর্তন করে আবার রোগী দেখা শুরু করেন তিনি। আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার অনুমতি না থাকায় জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে ঘটনাটি জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।