ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফেসবুকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২১
ফেসবুকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা গ্রেফতার পাঁচ প্রতারক

ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জেলা ও গ্রাম ভিত্তিক বিজ্ঞাপন দিয়ে আসছিল একটি চক্র। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে নগদ অর্থ ও বিভিন্নভাবে হয়রানি করে দেওয়া হতো না চাকরি।

এসব অপরাধে প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস, এভিনিউ-২, রোড-১২, বাসা-৮৮৯ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।  

গ্রেফতাররা হলেন- মনিরুল ইসলাম (২৪),  জীবন আহম্মেদ (২২), জান্নাত ইসলাম সাথী (২৬),  জাহেদুল ইসলাম (২৩)  ও ছাব্বির আহম্মেদ (২৪)। তাদের কাছ থেকে ‘আনোয়ার সিকিউরিটি অ্যান্ড লজিস্টিক সার্ভিসেস লি.’ এর চাকরির আবেদন ফরম ৮০টি এবং নিয়োগের খালি ফরম ৫০টি জব্দ করা হয়।

ভুক্তভোগী আব্দুর রহিম খান এজাহারে বলেন, আমি একজন বেকার যুবক। জীবিকার তাগিদে আমি দীর্ঘদিন ধরে একটি চাকরি সন্ধান করতে থাকি। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেইবুকে চাকুরির বিজ্ঞাপন দেখি। বিজ্ঞাপনে থাকা মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করি। শনিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার সময় মিরপুর ডিওএইচএস, এভিনিউ-২, রোড-১২, বাসা-৮৮৯ এর নিচ তলায় অবস্থিত ‘আনোয়ার সিকিউরিটি অ্যান্ড লজিস্টিক সার্ভিসেস লি.’ নামক অফিসে এসে ২ নম্বর আসামি জীবন আহম্মেদ (২২) এর মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানের এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) ১ নম্বর আসামি মনিরুল ইসলাম এর সঙ্গে দেখা করি।  

তিনি জানান, তিনি আমাকে বলেন, বিভিন্ন পদে তারা লোক নিয়োগ দিতেছেন। আমি যদি চাকরি করতে আগ্রহী থাকি তা হলে আমাকে সিকিউরিটি সুপারভাইজার পদে চাকরি দিতে পারবেন এবং আমার সঙ্গী মো. মোতালেব হোসেনকে সিকিউরিটি সুপারভাইজার অফিসার পদে নিয়োগ দেবেন। চাকরি পাওয়ার জন্য ফি হিসেবে আমার ও আমার সঙ্গীর কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। আমরা যদি টাকা পরিশোধ করি তাহলে আমাদের নিয়োগ দেবে।

ভুক্তভোগী আরও জানান, আমাদের সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমান টাকা না থাকায় শনিবার ৩টার সময় মনিরুল ইসলামের নির্দেশে আমাদের অফিস রুমের ভিতর ছোট একটি রুমে আটক করে রাখেন। আমরা রুমে বন্দি থাকা অবস্থায় জাতীয় জরুরি সেবা '৯৯৯' এ ফোন করি। থানা পুলিশের সহায়তা চাইলে পল্লবী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমাদের উদ্ধার করে এবং আসামিদের গ্রেফতার করে।  

এ বিষয়ে পল্লবী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সজিব খান বাংলানিউজকে বলেন, চক্রটি অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেয়। বিভিন্ন গ্রাম ও জেলা ভিত্তিক নিয়োগের কথা বলে বিজ্ঞাপন দেয়। বিভিন্ন জেলা থেকে ভিকটিমরা চাকরির সন্ধানে আসে এই চক্রটির অফিসে। আমরা ১৭ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেছি।

তিনি বলেন, ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন জেলা থেকে আসছেন। ভিকটিমরা এখানে এসে চাকরির জন্য ফরম ফিলাপ করেন। চক্রটি ৫ হাজার, ১০ হাজার টাকা আদায় করে। আসলে এরা যার কাছ থেকে যা টাকা নিতে পারে, তাই নেয়। চাকরিপ্রার্থীদের কখনোই চাকরি দেয়নি কিন্তু নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল চক্রটি।  

সজিব আরও বলেন, ভিকটিমরা '৯৯৯' এ ফোন করেন। ওসি স্যারের কাছে ফোন এলে, স্যার আমাকে অভিযানে পাঠান। আমার নেতৃত্বে এসআই সাইফুল আজগর ও মুন্না অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় চক্রটির পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছি। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০২১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২১
এমএমআই/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।