ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দীর্ঘ অপেক্ষার পরিসমাপ্তি, উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ‘চেঙ্গী সেতু’  

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২২
দীর্ঘ অপেক্ষার পরিসমাপ্তি, উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ‘চেঙ্গী সেতু’   চেঙ্গী সেতু। ছবি: বাংলানিউজ

রাঙামাটি: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান শেষে কাঙ্ক্ষিত ‘চেঙ্গী সেতু’ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে রাঙামাটির নানিয়ারচরবাসীর।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) স্বপ্নের চেঙ্গী সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাঙামাটির নানিয়াচর উপজেলার চেঙ্গী নদীর ওপর সেনাবাহিনীর ১৯ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (ইসিবি) ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে। ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ দশমিক ২ মিটার প্রস্থের এই সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১২০ কোটি টাকা।

দীর্ঘদিন একটি সেতুর অভাবে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে কয়েক লাখ মানুষকে। সেতুটি চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের ভোগান্তির অবসান হবে। পাহাড়ের ব্যবসা-বাণিজ্যের অগ্রগতি হবে, পর্যটন শিল্পের ঘটবে বিকাশ। তাই চেঙ্গী সেতু উদ্বোধনকে ঘিরে নানিয়ারচরে বইছে উৎসবের আমেজ।

নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, রাঙামাটি জেলা সদরের সঙ্গে নানিয়ারচর চেঙ্গী সেতু দিয়ে যাতায়াত করা যাবে লংগদু, বাঘাইছড়ি এবং খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলা হয়ে সাজেক পর্যন্ত। এছাড়াও নানিয়ারচরের আনারস চাষিদের ফল পরিবহনে সুবিধা হবে।
 
নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, নানিয়ারচরবাসীর প্রাণের দাবি ছিল চেঙ্গী নদীর উপরে একটি সেতু। আর এই সেতুটি নির্মিত হওয়ায় পাহাড়ের অনগ্রসর অঞ্চলটিতে খুলে গেল সম্ভাবনার দুয়ার। নানিয়ারচর, লংগদু, বাঘাইছড়ির বাসিন্দাদের জন্য ভাগ্যর চাকা ঘুরে যাবে।

রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহে আরেফিন বলেন, সেতুর কাজ শেষ। এবার সড়কটি নির্মাণে সেনাবাহিনীর ১৯ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (ইসিবি) থেকে একটি প্রকল্প প্রস্তুত করা হচ্ছে। শিগগিরই লংগদু সড়কটির নির্মাণকাজ শুরু হবে।

রাঙামাটি থেকে বর্তমানে বাঘাইছড়িতে সড়ক পথে যেতে পারি দিতে হয় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পথ। রাঙামাটি থেকে সড়কপথে লংগদু যেতেও প্রায় ১৪০ কিলোমিটার পথ পারি দিতে হয়। সময়টাও লাগে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা। এই উপজেলাগুলোর সঙ্গে রাঙামাটি সদরের কোনো বাস সার্ভিস চালু নেই। নৌ-পথেই একমাত্র ভরসা। কিন্তু নানিয়ারচরের চেঙ্গী সেতুর মাধ্যমে সেই দুর্গম পরিস্থিতি অনেকটাই লাঘব হবে। রাঙামাটি থেকে নানিয়ারচরের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। নানিয়ারচর থেকে লংগদু সদরে দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার এবং বাঘাইছড়ির দূরত্ব ৩০ কিলোমিটারের মতো। চেঙ্গী সেতু নির্মিত হওয়ায় এখন এক, দেড় ঘণ্টার মধ্যে সরাসরি লংগদু বা বাঘাইছড়ি যাওয়া সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।