ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঈশ্বরদীতে শীতার্তদের মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপের ‘কম্বল’ উপহার

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২২
ঈশ্বরদীতে শীতার্তদের মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপের ‘কম্বল’ উপহার শীতার্তদের মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপের ‘কম্বল’ উপহার

পাবনা (ঈশ্বরদী): পৌষের শেষে কনকনে শীতে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে কম্বল উপহার পেয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীর উপজেলার হতদরিদ্র, অসহায়, ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষজনরা।  

বুধবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ঈশ্বরদীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাঁড়া মাড়োয়ারী সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়।

 

বসুন্ধরা গ্রুপ শুধু দেশের অর্থনীতিতে অবদানই রাখছে তা নই। পাশাপাশি উন্নয়নমূলক সামাজিক, মানবতার কল্যাণেও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় এ শিল্প প্রতিষ্ঠান।

এছাড়াও বন্যার্তদের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও করোনার সময় লকডাউনে কর্মহীন মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়াসহ মানবিক বিভিন্ন কাজে বসুন্ধরা গ্রুপের উপহার পৌঁছে যায়। শীত মৌসুমে সারাদেশে শীতার্ত অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে কম্বল উপহার বিতরণের কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিতায় ঈশ্বরদী উপজেলার হতদরিদ্র, অসহায় ও সমাজের ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে ৪ শতাধিক কম্বল বিতরণ করে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষে দৈনিক কালেরকন্ঠ শুভসংঘ।  

শুভসংঘ ঈশ্বরদীর সভাপতি মাসুম পারভেজ কল্লোলের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম রাসেলের সঞ্চালনে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য দেন ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইউএনও) পি এম ইমরুল কায়েস।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন এবং কম্বল উপহার তুলে দেন পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র, আওয়ামী লীগের পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক, ইছাহক আলী মালিথা।  
 
বিশেষ অতিথি হিসেবে কালের কণ্ঠ শুভসংঘের উপদেষ্টা, সাঁড়া মাড়োয়ারী সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আইনুল ইসলাম, কালের কণ্ঠের পাবনা জেলা প্রতিনিধি শেখ মেহেদী হাসান, দৈনিক সমকালের ঈশ্বরদী প্রতিনিধি সেলিম সরদার।  

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরদী পৌরসভার কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম সাবু, সাপ্তাহিক আমাদের ঈশ্বরদীর সম্পাদক দেব দুলাল রায়।


কম্বল নিতে আসা ষাটোর্ধ্ব হতদরিদ্র আমেনা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় সিরাজগঞ্জ থেকে পালাইয়া ঈশ্বরদী আইছিলাম। দুই মাসের সন্তান পেটে ছিল। কিছুদিন পর উনি (স্বামী) মারা গেল, আমি অনেক কষ্টে ছেলেটাকে বড় করে কাজে দিছিলাম। বড় হয়ে একাই বিয়ে করলো। বিয়ের একমাস পর ব্যাটার বৌ, ছেলে খুন হয়। তারপর দ্যাশে (দেশে) গেছিলাম। কেউ চিনবের (চিনতে) পারে না। আমার থাকার জায়গা নাই বাপ। একলো (একা) মানুষ। স্টেশনের ব্রিজের ওপর ভিক্ষা করি, স্টেশনেই হুয়া (শুয়ে) পড়ি। শীতে একখান (একটা) কম্বল,গরম চাদর কেউ দেয়নি বাপ। শীতে সেই কষ্ট হয় বাপুরে। আমার ছেলেডো বাইচ্যা থাকলে ভিক্ষা করা লাগতো না। বসুন্ধরার মালিক কম্বল উপহার দিবো। স্লিপ পাইছি একটো (একটা) কম্বলটা যে কি দরকার আছিলো (ছিল) ভালো লাকতেছে। যে শীত!!!  কষ্টড্যো গেল! আল্লাহ্  যেন উনাক ভালো রাহে। আরও মানুষেক সাহায্য করার তৌফিক যেন দেয়। দোয়া হরি (করি)।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শুভসংঘ ঈশ্বরদীর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জুবায়ের আলম নিরব, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান আলিপ সরদার, ক্রীড়া সম্পাদক তানজীদ হাসান হৃদয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক ফারজানা ফেরদৌস পুষ্প, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আরাফাত জামান, দপ্তর সম্পাদক সাফায়ত কাউসার অপি, কার্যকরি সদস্য, শারমিন সুলতানা কাকলী, মাহমুদ মার্শেদ মাহিন, নিশাত তাসনীম সৃষ্টি, অপু রায়হান, জান্নাতুন ফেরদৌস শারমিন, নুসরাত জাহান সূচনা, সামিয়া সুলতানা জিহাদুল আলম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২২
এসআএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।