ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ১৫ জানুয়ারি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ১৫ জানুয়ারি

ঢাকা: ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ প্রতিপাদ্যে আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে এ উৎসব চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত।

এবারের উৎসবে ১০টি বিভাগে বাংলাদেশসহ ৭০টি দেশের মোট ২২৫টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় উৎসব আয়োজক কমিটি।  

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল, বাংলাদেশ বার্ডস ক্লাবের সভাপতি জালাল আহমেদ, ঢাকা ক্লাবের সভাপতি খন্দকার মশিউজ্জামান, ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত, উৎসবের প্রধান প্রোগ্রামার ইরানি নির্মাতা ও চলচ্চিত্র সংগঠক জোহরে জামানি। এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক কিশোয়ার কামাল।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের উৎসবে এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, ট্রিবিউট, বাংলাদেশ প্যানারোমা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, চিশে ফিল্ম, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম ও উইমেন্স ফিল্ম সেশনে বাংলাদেশসহ ৭০টি দেশের মোট ২২৫টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এর মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য (৫০ মিনিটের বেশি) চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১২৯টি, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্রের সংখ্যা ৯৬টি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আছে ৪০টি, যার মধ্যে ২২টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন এবং ১৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য।

এবারের উৎসবে চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা, নন্দন থিয়েটার (মুক্তমঞ্চ) ও নৃত্যশালা মিলনায়তন, অঁলিয়াস ফ্রাঁসেজ মিলনায়তন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাডেমি মিলনায়তন ও স্টার সিনেপ্লেক্স।

জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ১০টা, দুপুর ১টা ও বিকেল ৩টার প্রদর্শনী শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে দেখতে পারবেন। সেক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। এর বাইরে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য টিকিট মূল্য ৫০ টাকা। কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। সেখানে অভিভাবকরাও শিশুদের সঙ্গে এ চলচ্চিত্রগুলো বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া সকাল সাড়ে ১০টা, দুপুর ১টা ও বিকেল ৩টার প্রদর্শনী শিক্ষার্থীরা বিনামূলো দেখতে পারবেন। সেক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। এর বাইরে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য টিকিট মূল্য ৫০ টাকা। জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে সব প্রদর্শনী সবাই বিনামূলো উপভোগ করতে পারবেন। আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় আগে আসলে আগে দেখবেন ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা হবে। আঁলিয়াস ফ্রাঁসেজ মিলনায়তনেও প্রদর্শনীগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত। আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় এখানেও আগে আসলে আগে দেখবেন ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা হবে।

এদিকে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা, নন্দন থিয়েটার (মুক্তমঞ্চ) ও নৃত্যশালার প্রদর্শনীগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত। আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় এখানেও একই প্রক্রিয়ায় আসন বণ্টন করা হবে। স্টার সিনেপ্লেক্সে কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত প্রদর্শনীর বিনিময়ে দর্শকরা উৎসবের চলচ্চিত্রগুলো উপভোগ করতে পারবেন। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাডেমি মিলনায়তনে কেবলমাত্র আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আগামী ১৬ থেকে ১৭ জানুয়ারি উৎসবের অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেন্ডার স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতায় চলচ্চিত্রে নারীর ভূমিকা বিষয়ক ‘অষ্টম আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্ম মেকারস কনফারেন্স’ ঢাকা ক্লাবের স্যামসন লাউঞ্জের দ্বিতীয় তলায় অনুষ্ঠিত হবে। এ কর্মশালায় দেশি-বিদেশি নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা ও ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী নির্মাতারা অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবেন।

আগামী ১৫ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উৎসব উদ্বোধন করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরই লেবানন ও জার্মানির যৌথ প্রযোজিত এবং মারিয়া ইভানোভা জেড পরিচালিত ‘দ্য অ্যাঙ্গার’ চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হবে।

এবারের উৎসবে আফগানিস্তান, আর্মেনিয়া, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, বেলারুস, বসনিয়া-হার্জেগোভেনিয়া, ব্রাজিল, বুলগেরিয়া, কানাডা, চীন, ক্রোয়েসিয়া, কিউবা, সাইপ্রাস, চেক রিপাবলিক, কঙ্গো, মিশর, ইস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, প্যালেস্টাইন, জার্মানি, গ্রিস, গুয়েতেমালা, হাঙ্গেরি, ভারত, ইরান, ইরাক, ইতালি, জাপান, কাজাকস্তান, কসোভো, কিরগিস্তান, লেবানন, লিথুনিয়া, লুক্সেমবার্গ, মালয়েশিয়া, মৌরেতানিয়া, মঙ্গোলিয়া, অস্টেনিগ্রো, নেপাল, নেদারল্যন্ডস, নরওয়ে, পাকিস্তান, পেরু, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, পর্তুগাল রোমানিয়া, রাশিয়া, রুয়ান্ডা, সার্বিয়া, সিঙ্গাপুর, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, সিরিয়া, ভাইওয়ান, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম, ইয়াকুতিয়া ও স্বাগতিক বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এছাড়া কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার চত্বরে উৎসব চলাকালে নিয়মিত মিলনমেলার আয়োজন করা হবে, যেখানে চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা তাদের পরিচিতির জন্য সমবেত হবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।