ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাংবাদিক মানিক সাহার ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী শনিবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২২
সাংবাদিক মানিক সাহার ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী শনিবার

খুলনা: খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মানিক সাহার ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী শনিবার (১৫ জানুয়ারি)। চরমপন্থিদের বোমা হামলায় ২০০৪ সালের এদিনে নিহত হন তিনি।

২০১৬ সালে এ হত্যা মামলায় নয়জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেন খুলনার দ্রুত বিচার আদালত।

খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, একুশে পদকপ্রাপ্ত নির্ভীক সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহার ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার ক্লাবের পক্ষ থেকে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ক্লাবের অভ্যন্তরে অবস্থিত শহীদ সাংবাদিক স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও বেলা ১১টায় ক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে আলোচনা সভা।

একইভাবে খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নও (কেইউজে) নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এছাড়া মানিক সাহার পরিবারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সিপিবিসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্মসূচি পালন করবে।

২০০৪ সালের ১৪ জানুয়ারি খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের মহানগর ও জেলা কমিটির সম্মেলন থেকে প্রেসক্লাবে যান একজনের সঙ্গে দেখা করতে। কথা শেষ করে তিনি রিকশায় করে আহসান আহমেদ রোডের বাড়িতে যাবার সময় প্রেসক্লাবের অদূরে চরমপন্থিদের বোমা হামলায় নিহত হন।

রায় ঘোষণাকালে বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক জেলা ও দায়রা জজ এম এ রব হাওলাদার তার পর্যবেক্ষণে বলেন, তদন্তে দুর্বলতার পাশাপাশি যথাযথ সাক্ষ্য পাওয়া যায়নি। সাক্ষ্য যথাযথ না পাওয়ায় অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া গেল না।

এতে ১১ আসামির মধ্যে নয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। হত্যা মামলায় এসব আসামিদের সাজা হলেও বিষ্ফোরক মামলায় কোনো আসামিকে সাজা দেওয়া যায়নি। হত্যা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেওয়া হয় অতি দ্রুততার সঙ্গে ২০০৪ সালের ২০ জুন।

এ সময়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক কাজী আতাউর রহমান ও খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন। আসামি ছিলেন ১৩ জন।

একই আসামিদের অভিযুক্ত করে বিষ্ফোরক মামলার অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয় বেশ পরে ২০০৭ সালের ১৯ মার্চ। তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান।

পরে হত্যা মামলাটির অধিকতর তদন্ত হয়। এ অধিকতর তদন্তে সম্পূরক চার্জশিট জমা পড়ে ২০০৭ সালের ২ ডিসেম্বর। তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক চিত্তরঞ্জন পাল। তিনি আরও একজন আসামি যোগ করেন। মোট আসামি হয় ১৪ জন। বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই আসামিদের মধ্যে তিনজন কথিত ক্রসফায়ারে মারা যান। ১১ আসামি নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।  

২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি খুলনা প্রেসক্লাবের অদূরে দুর্বৃত্তদের বোমা হামলায় নৃশংসভাবে নিহত হন সাংবাদিক মানিক সাহা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দৈনিক সংবাদ ও নিউএজ পত্রিকার খুলনাস্থ জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, ইটিভি প্রতিনিধি ও বিবিসি বাংলার খণ্ডকালীন সংবাদদাতা ছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত মানিক সাহা ছাত্রজীবন থেকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২২
এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।