ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জনশক্তি রপ্তানি বাড়ানোর তাগিদ রাষ্ট্রপতির

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২২
জনশক্তি রপ্তানি বাড়ানোর তাগিদ রাষ্ট্রপতির

ঢাকা: সরকারকে নতুন নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধান এবং বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি বাড়ানোর প্রচেষ্টা আরও জোরদার করতে বলেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) ২০২২ সালে একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘নতুন নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধানসহ বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির প্রচেষ্টা আরও জোরদার করতে হবে। বিশ্ববাজারের চাহিদা অনুযায়ী নতুন কারিক্যুলাম প্রস্তুত, বিদ্যমান কারিক্যুলাম যুগোপযোগী করা এবং পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে পরীক্ষিত দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। ’

নতুন প্রজন্মকে দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর তাগিদ দিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। এজন্য আমাদের জনমিতির সুবিধা পুরোপুরি ব্যবহার করতে হবে। ঢেলে সাজাতে হবে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। ’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত। ২০২১ সালে ছয় লাখ ১৭ হাজার ২০৯ জন কর্মী বৈদেশিক কর্মসংস্থান লাভ করেছেন। ’

শ্রমিকদের কল্যাণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘প্রত্যাগত দুই লাখ অভিবাসী কর্মীদের কর্মসংস্থান সৃজনে আত্মকর্মসংস্থানসহ আর্থসামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিতে আট হাজার শ্রমিক ও শ্রমিক পরিবারকে প্রায় ১০৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ’

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন শুরু করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘২০৩১ সালে উচ্চ-মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশের কাতারে শামিল হতে চাই আমরা। ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরণ পরবর্তী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে তা দ্রুত বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে হবে। ’

তিনি বলেন, ‘ রূপকল্প ২০২১-এর সফল বাস্তবায়ন শেষে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়িত হচ্ছে। পানি ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশগত পরিবর্তন বিবেচনা করে প্রণীত বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০-এর আওতায় বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ’

সময় সাশ্রয়ের জন্য সংসদে মূল ভাষণের পরিবর্তে সংক্ষিপ্ত ভাষণ পাঠ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। প্রায় চার হাজার ৭০০ শব্দের সংক্ষিপ্ত ভাষণে কয়েকটি বিষয়ে দিক-নির্দেশনার পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি। এ সময় জাতীয় সংসদে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করেন।

আরও পড়ুন: ওমিক্রন নিয়ে সরকারকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ রাষ্ট্রপতির

‌বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জানুয়া‌রি ১৬, ২০২২
এমইউএম/এসকে/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।