ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘লও ঠেলা’ গ্রুপের হোতাসহ আটক ৯

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
‘লও ঠেলা’ গ্রুপের হোতাসহ আটক ৯ ‘লও ঠেলা’ গ্রুপের আটক সদস্যরা

ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ‘লও ঠেলা’ নামে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের মূলহোতা বাবু ওরফে দশের বাবুসহ ৯ জনকে আটক করেছে র‌্যাব-২।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন—বাবু ওরফে দশের বাবু (২৬), ফোরকান (২২), পলাশ (২৩), সুমন (২২), সাগর (২৩), রাজন (২৩), নাজিম (২৪), শাকিল (২০) ও মিলন (২১)। তাদের কাছ থেকে ছুরি, চাপাতি ও স্টিলের পাইপসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু নাঈম মো. তালাত জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিং এলাকায় একদল সন্ত্রাসী দোকানপাট, বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং ছিনতাই করে। গত ১৬ জানুয়ারি আবারো নবীনগর হাউজিং এলাকায় মারামারি, ভাঙচুর, ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে লও ঠেলা গ্রুপের ৯ সদস্যকে আটক করা হয়।

এই দলের মূলহোতা বাবু ওরফে দশের বাবু। তারা দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, মাদক কেনাবেচা, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।

‘লও ঠেলা’ গ্রুপের প্রধান বাবু ওরফে দশের বাবু ২০০০ সালে মায়ের সঙ্গে নড়াইল থেকে ঢাকায় আসেন। পরে তিনি গাড়ির হেলপার, হোটেলের পরিচ্ছন্ন কর্মীর চাকরিসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি মাদকাসক্ত হয়ে মাদকের টাকার জন্য ছোট ছোট চুরি-ছিনতাই শুরু করেন।

লে. কর্নেল আবু নাঈম মো. তালাত আরও জানান, ২০১৪ সালে কিশোর গ্যাং ‘ভাইব্বা ল কিং’-এ যোগ দেওয়ার পর বাবুর অপরাধের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এক সময় তার কুখ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে অপরাধ জগতে তিনি ‘দশের বাবু’ নামে খেতাব পান। পরবর্তীতে ‘ভাইব্বা ল কিং’ গ্রুপ থেকে আলাদা হয়ে ২০১৭ সাল থেকে ‘লও ঠেলা’ নামে নিজস্ব গ্রুপ গড়ে তোলেন বাবু।

আটক বাবু বখে যাওয়া ছেলেদের তার গ্রুপে নিতেন। ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধে সম্পৃক্ত ‘লও ঠেলা’ গ্রুপ। এছাড়া জবর দখল, ভাড়ায় শক্তি প্রদর্শন এবং আধিপত্য বিস্তারসহ নানা অপকর্মে তাদের ব্যবহার করেন বাবু। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, দস্যুতা, মাদক ও ছিনতাইসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে।

আটক অন্যরা সবাই ক্ষুদ্র ব্যবসা, অটোচালক, রিকশাচালক, গাড়িচালক, দিন মজুরসহ বিভিন্ন পেশার আড়ালে অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত। আটক ফোরকানের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১টি, পলাশের নামে হত্যা চেষ্টা আইনে ১টি ও শাকিলের নামে ১টি মাদক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন বলে জানান র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
পিএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।