ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এবার নবজাতকের হাত ভাঙার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
এবার নবজাতকের হাত ভাঙার অভিযোগ

ফরিদপুর: ফরিদপুরে আল মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালে সিজার করার সময় নবজাতকের কপাল কেটে ফেলার ঘটনার পর এবার নবজাতকের হাত ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। নবজাতকের হাত ভাঙার ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খবাসপুরে অবস্থিত আরামবাগ প্রাইভেট হাসপাতাল নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে।

নানা অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে হাসপাতালটিতে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দিকুর রহমান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করেন।

এদিকে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুরে অবস্থিত আরামবাগ প্রাইভেট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারদের অবহেলার কারণে নবজাতকের হাত ভাঙার অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা মো. আরিফুল আলম সজল। তিনি মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) ফরিদপুর জেলা প্রশাসক ও ফরিদপুর সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।  

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালটিতে সিজারের জন্য তার প্রসূতি স্ত্রীকে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পরপরই বাচ্চা ডেলিভারির জন্য অপারেশন থিয়েটারে সিজার (অপারেশন) করা হয়, কিন্তু অপারেশন চলাকালীন সময়ে ডাক্তারদের অবহেলা বা গুরুত্ব না থাকায় জন্ম নেয়া শিশু বাচ্চার হাত অতিরিক্ত টান দিয়ে হাতের কনুই থেকে হাড্ডির (হাড়) জয়েন্ট ছুটিয়ে ফেলে। হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো কিছু না জানানোর কারণে ভুক্তভোগীরা কিছু জানতে না পারায় স্বাভাবিকভাবে ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। পরের দিন বাচ্চার ব্যাথা অনুভব হওয়ায় পুনরায় শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আব্দুল্লা হিস সায়াদ এক্সরে দেখে তিনি ল্যাব এইড হাসপাতালের ডা. সৈয়দ আসিফ উল আলম সাহেবের কাছে পাঠান। এরপর ডা. সৈয়দ আসিফ উল আলম ঢাকা হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. সারোয়ার ইবনে সালামের কাছে পুনরায় পাঠান। বর্তমানে সেখানেই সেই বাচ্চার চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ডাক্তারের সাহায্যে তারা জানতে পারেন সিজারের সময় ডাক্তারদের অবহেলার কারণেই বাচ্চার হাতের কনুই আলাদা হয়ে যায়। পরবর্তীকালে পুনরায় আরামবাগ হাসপাতালে যোগাযোগ করলে ডা. শারমিন সুলতানা জুইসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতকের অবিভাবক মো. আরিফুল আলম সজলের সঙ্গে অসম্মানজনক ব্যবহারের মাধ্যমে হুমকি দেন।

এ বিষয়ে নবজাতকের বাবা মো. আরিফুল ইসলাম সজল বাংলানিউজকে বলেন, আমার বাচ্চার শারীরিক নির্যাতন, আর্থিক ও মানষিক নির্যাতনের জন্য উল্লেখিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।  

তিনি আরও বলেন, পূর্বেও অন্য একটি বাচ্চা ডেলিভারির সময় এ রকমই ঘটনা ঘটেছে বলে পরে জানতে পেরেছি।  

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা.সিদ্দিকুর রহমান বলেন, হাসপাতালটিতে ডাক্তার ও পর্যাপ্ত নার্স না থাকা এবং অপ্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নার্স দিয়ে হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগে হাসপাতালটির সকল কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।