ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

গিনেস বুকে ঠাঁই পেল সৈয়দপুরের নাফিস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২২
গিনেস বুকে ঠাঁই পেল সৈয়দপুরের নাফিস বাবা-মার সঙ্গে নাফিস।

নীলফামারী: এবার গিনেস বুক ওয়ার্ল্ডে নাম লেখালেন নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ছেলে নাফিস ইসতে তৌফিক ওরফে অন্ত। হাতের স্পর্শ ছাড়াই কলা খাওয়া ও দ্রুততম সময়ে ১০টি মাস্ক পরে ২০২১ সালের গিনেস বুক ওয়ার্ল্ডে রেকর্ড গড়েছে সে।

 

নাফিস নীলফামারীর সৈয়দপুরের ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের ১০ম শ্রেণির ছাত্র। তার এই অর্জনে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, সহপাঠী ও অভিভাবক বেজায় খুশি।  

ছোট্ট থেকে যন্ত্রপাতি নিয়ে খেলার আগ্রহ নাফিসের। টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে সে বিভিন্ন ডিভাইস ও যন্ত্রপাতি  কেনে। করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়িতে সারাক্ষণ বন্দি থাকতে হয়েছে তাকে। নাফিসের পরিবার বসবাস করে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়। তার বাবা ইউনুস আলী একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি করেন। নাফিস স্ট্যাপলারের পিন দিয়ে দীর্ঘ চেইন বানিয়ে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়তে চেয়েছিল। কাজটি শুরুও করেছিল সে। কিন্তু করোনাকালে নানা প্রতিকূলতার কারণে উপকরণ সংগ্রহে ব্যর্থ হয় নাফিস।  

এদিকে নাফিস যুক্তরাষ্ট্রের জজ পিলের সাত দশমিক ৩৫ সেকেন্ডের রেকর্ড ভেঙে মাত্র সাত দশমিক ১৬ সেকেন্ডে পরিধান করে সার্জিক্যাল মাস্ক। এর পাশাপাশি হাতের ব্যবহার ছাড়াই মুখ দিয়ে কলা ছিলে ৩০ দশমিক সাত সেকেন্ডে তা খেয়ে কানাডার মাইক জ্যাকের ৩৭ দশমিক সাত সেকেন্ডের রেকর্ড ভেঙে দেন। তার এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গিনেস বুক ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ গত বছর (২০২১) বিশ্ব রেকর্ডের সনদ দিয়েছে নাফিসকে। এজন্য অভিভূত নাফিসের পরিবার, শিক্ষক ও সহপাঠীরা।  

রোববার (২৩ জানুয়ারি) নাফিসের বাবা ইউনুস আলীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, বিশ্বাস করতে পারছি না। আমার ছেলে এত বিশাল সাফল্য বয়ে আনবে। তার মা নাজমুন নাহার বলেন, নাফিস সারাক্ষণ যন্ত্রপাতি নিয়ে খেলাধুলা করে। সে ভবিষ্যতে প্রকৌশলী হতে চায়। অথচ ব্যতিক্রম দুটি বিষয়ে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বে তা ভেবে অবাক হচ্ছি। তিনি ছেলের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল সরকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ২০২১ সালে আমার প্রতিষ্ঠানের ছাত্র নাফিস গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছে। যা আমাদের গৌরবান্বিত করেছে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য এটি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, কেবল ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়া নয়, ভালোভাবে লেখাপড়া করে ভালো মানুষ হবে আমাদের নাফিস। নাফিসের কৃতিত্বের ছবি প্রতিষ্ঠানের প্রদর্শনী বোর্ডে স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।