ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে ঢাকা-ইন্দোর অভিজ্ঞতা বিনিময়

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে ঢাকা-ইন্দোর অভিজ্ঞতা বিনিময়

ঢাকা: ভারতের ইন্দোর ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি ভার্চ্যুয়াল সংলাপ হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আয়োজিত ওয়েবিনারে সহযোগিতা করেছে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন এবং ভারত সরকারের আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

২০২১ সালে ভারত সরকার পরিচালিত বার্ষিক পরিচ্ছন্নতা সমীক্ষায় ইন্দোর শহরকে ভারতের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে অবস্থিত ইন্দোর শহরটি ২০১৭ সাল থেকে টানা ৫ বার পরিচ্ছন্ন শহরের তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রশংসনীয় পদ্ধতির কারণে। এর মধ্যে রয়েছে—বর্জ্য পৃথকীকরণ, ঘরে ঘরে গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ, বাসিন্দাদের দ্বারা বাড়িতে কম্পোস্টিং, দিনের বর্জ্য পুনর্ব্যবহার, কেন্দ্রীয় কম্পোস্টিং সুবিধা ইত্যাদি।

ওয়েবিনারে উপস্থিত ছিলেন ভারতের জাতীয় মিশন পরিচালক ও স্বচ্ছ ভারত মিশনের যুগ্ম সচিব রূপা মিশ্র, ইন্দোর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের অতিরিক্ত কমিশনার সন্দীপ সোনি, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ইন্দোর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কর্মকর্তা এবং সেন্ট্রাল পাবলিক হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধিরা।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অতিরিক্ত সচিব ও প্রধান নির্বাহী মো. সেলিম রেজা বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন—ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিরুল ইসলাম, ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরীফ-উল ইসলাম এবং ডিএনসিসির অন্যান্য সদস্য।

ওয়েবিনারে ইন্দোর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা তাদের বর্জ্য সংগ্রহের পদ্ধতি, উদ্ভাবনী অনুশীলন এবং দক্ষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য তাদের গৃহীত প্রযুক্তি নিয়ে কথা বলেন। ইন্দোরের মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন শতভাগ ঘরে গিয়ে বিচ্ছিন্ন বর্জ্য সংগ্রহ ব্যবস্থা, মিউনিসিপ্যাল ক্লিনারদের জন্য বায়োমেট্রিক উপস্থিতি ব্যবস্থা, জিপিএস-ট্র্যাক করা যায় এমন বর্জ্য সংগ্রহের যানবাহন ইত্যাদির বিশদ বিবরণ দিয়েছে।

অন্যদিকে ডিএনসিসি কর্মকর্তারা তাদের সর্বোত্তম অনুশীলনগুলি বিষয়ে এবং কীভাবে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য পৌর পরিষেবার ক্ষেত্রে সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়া যায় সে সম্পর্কে ফলপ্রসূ আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে রূপা মিশ্র বলেন, পারস্পরিক শিক্ষার অনেক সুযোগ রয়েছে এমন একটি বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে ভারত আনন্দিত। ডিএনসিসি প্রধান নির্বাহী মো. সেলিম রেজাও দুই নগর সভার মধ্যে অনুষ্ঠিত এই ধরনের প্রথম ওয়েবিনারকে স্বাগত জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২২
টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।