ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

কেরাণীগঞ্জে মাঝি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, আটক ৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
কেরাণীগঞ্জে মাঝি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, আটক ৩

কেরাণীগঞ্জ (ঢাকা): রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকার চাঞ্চল্যকর নৌকার মাঝি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে র‌্যাব। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।  

গত ৪ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টার দিকে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চুনকুটিয়া চৌধুরীপাড়া টিপু মিয়ার বাড়ির সামনে গুরুতর জখম ও অচেতন অবস্থায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা ৯৯৯-এর মাধ্যমে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) র‌্যাব গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানায়।  
 
র‌্যাব জানায়, ওই ব্যক্তির নাম মনিন্দ দাস (৭০)। তার বাবার নাম মৃত বরন দাস, তার বাড়ি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে। এ ঘটনায় নিহত মনিন্দ দাসের ছেলে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ডটি সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বসহকারে প্রচারে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। র‌্যাব এ ঘটনার ছায়াতদন্ত শুরু করে ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১০ এর একটি দল সদর দফতর গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভোর সোয়া ৫টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন চুনকুটিয়া সাবান ফ্যাক্টরি গলি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানে মাঝি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মো. ফজলে রাব্বি (২১), মো. শরীফ (২০), মো. আজিজুল শেখকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মাঝি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেন।

নিহত মনিন্দ দাস (৭০) খেয়া নৌকার মাঝি ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাট থেকে তেলঘাট রুটে নৌকা দিয়ে মানুষ পারাপার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে প্রতিদিনের মতো খেয়াঘাটে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চুনকুটিয়া চৌধুরীপাড়া টিপু মিয়ার বাড়ির সামনে পৌঁছালে আটকরা ছিনতাই করার উদ্দেশে মাঝিকে ঘেরাও করেন। তারা মাঝির কাছে কোনো অর্থ না পেয়ে এবং ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো চাকু দিয়ে তার থুতনির নিচে, নাভির ওপরে, বুকের বাম পাশে ও পেটের উভয় পাশে একাধিক ছুরিকাঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে যান।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটকরা মাদকাসক্ত, পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী। এ ছাড়াও তারা বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ডাকাতিসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ছিনতাই এবং আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আটক বাপ্পির বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও ইভটিজিংয়ের তিনটি মামলা এবং শরীফের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় চাঁদাবাজি ও ইভটিজিংয়ের ২টি মামলা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।