ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীকে গান শুনিয়ে জমি চাইলেন মেয়র আতিক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২২
প্রধানমন্ত্রীকে গান শুনিয়ে জমি চাইলেন মেয়র আতিক

ঢাকা: ‘পরের জায়গা পরের জমিন/ঘর বানাইয়া আমি রই/আমি তো এই ঘরের মালিক নই’ বহুল প্রচলিত এই গানটির কিছু অংশ গেয়ে বাজার, খেলার মাঠ, পার্কসহ নান্দনিক শহর গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমি চেয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

রোববার (৬ মার্চ) সকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ ও উন্নয়ন (ফেজ-১) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়নাধীন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন (ভার্চ্যুয়াল) অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মেয়র আতিক।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচকুড়া হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

পরিকল্পিত শহর গড়ার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে মেয়র আতিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি বলেন, কমপ্লেক্স করতে হবে। আমরা এখানে ওয়ার্ড কমপ্লেক্স, জোনাল কমপ্লেক্স করবো। এই কমপ্লেক্সের মাধ্যমে থাকবে কমিউনিটি সেন্টার, কমিউনিটি ক্লিনিক, ওয়ার্ড অফিস, লাইব্রেরি এবং কালচারাল সেন্টার। ’

তিনি বলেন, ‘একটা পরিকল্পিত শহর বলতে আমরা বুঝি-খেলার মাঠ, পার্ক, বাস-ট্রাক টার্মিনাল, কিচেন মার্কেট, কাঁচা বাজার, স্লটার হাউস, ক্যাটেল মার্কেট, সেনেটারি ল্যান্ড ফিল্ড, সেকেন্ডারি ট্রান্সফর্ম স্টেশন, পাবলিক টয়লেট, গ্রেভিয়ার্ড, ঈদগাহ মাঠ, মসজিদ, উপাসনালয়। এগুলো করতে অবশ্যই আমাদের জায়গা লাগবে। এই নতুন অঞ্চলকে উন্নত করতে সর্বমোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা। প্রাথমিকভাবে প্রথম ধাপে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। এজন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আপনাকে আবারও ধন্যবাদ জানাতে চাই।

গান গেয়ে জমি চেয়ে মেয়র আতিক বলেন, ‘আমি যা বললাম- খেলার মাঠ-পার্ক;  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এগুলো করতে জায়গা লাগে আমাদের। একটি গান আছে, পরের জায়গা পরের জমিন/ঘর বানাইয়া আমি রই/আমি তো এই ঘরের মালিক নই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি মালিক না, আপনি হলেন ঘরের মালিক। আপনি ঘরের মালিক। আমি করজোড়ে আপনাকে বলবো, এই এলাকার জন্য যদি পার্ক করতে চাই, যদি ট্রাকস্ট্যান্ড করতে চাই, যদি খেলার মাঠ করতে চাই; নতুন এই ওয়ার্ডগুলোতে একটি জায়গাও সিটি করপোরেশনের হাতে নেই। এগুলো আছে প্রত্যেকটি সংস্থার কাছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে। প্রধানমন্ত্রী করজোড় হাতে আপনার কাছে চাচ্ছি। ’

আতিক আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি বলেছেন, আপনি একটি সুন্দর শহর গড়বেন, এজন্য নতুন এই ওয়ার্ডগুলো করেছেন। আপনি আমাদের জায়গা দিন, আমরা কথা দিচ্ছি, আমরা আমাদের নিজের খরচে আমরা সব করে নিতে পারবো। ’

প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এস এম জাকারিয়া হোসেন প্রকল্পের ওপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতায় উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত হরিরামপুর ইউনিয়ন এবং পূর্বাঞ্চলে উত্তরখান, দক্ষিণখান, বাড্ডা, বেরাইদ, ডুমনি, সাঁতারকুল ও ভাটারা ইউনিয়নের এলাকাসমূহের ১৮টি ওয়ার্ডকে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। চলমান প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে এই ১৮টি ওয়ার্ডে বসবাসরত জনসাধারণের নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। সেসঙ্গে বিদ্যমান জলাবদ্ধতা দূরীভূত হবে এবং নাগরিক সেবার মান বাড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২২
এমইউএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।