কুমিল্লা: একসঙ্গে স্কুলে যেত মীম, তাসফিয়া ও রীমা। সঙ্গে আরও দুই বান্ধবী।
তাসফিয়ার বাড়ি কুমিল্লার বরুড়ার অর্জুনতলা গ্রামে। ওই গ্রামের ওমান প্রবাসী দুলু মিয়ার মেয়ে সে। এ বছর নানাদের এলাকার বিজয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয় তাকে। সে কারণে সেও থাকতো দুর্গাপুরে।
রীমা জন্মসূত্রে দুর্গাপুরের বাসিন্দা। বাকি দুই বান্ধবীর বাড়িও দুর্গাপুরে। সবার বাড়ি কাছকাছি। তাই স্কুলে যাওয়ার সময় সবাই একসঙ্গে বের হতো। কিন্তু বুধবার দুই বান্ধবী অসুস্থ থাকায় মীম, তাসফিয়া ও রীমা একসঙ্গে স্কুলে রওনা দেয়। বেলা সাড়ে ১১টার সময় তারা বের হয়। এর ১৫ মিনিট পর পৌনে ১২টার দিকে বিজয়পুর বাজরের গলি পার হয়ে পশ্চিম দিকে রেললাইনে ওঠে তিনজন। সেখানে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেনে কাটা পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ট্রেনের ধাক্কায় পাশে ছিটকে পড়ে মীম ও রীমা। তাসফিয়ার দেহ ট্রেনে আটকা পড়ে এক কিলোমিটার সামনে চলে যায়।
দুর্গাপুরের বাসিন্দা অহিদ মিয়া বাংলানিউজকে জানান, পাঁচ বান্ধবীকে একসঙ্গে স্কুলে যেতে দেখতাম। তারা আনন্দ ও হইহুল্লোড় করে স্কুলে যেত। আজ তিনজন স্কুলে যাওয়ায় বেঁচে যায় বাকি দুইজন।
এর আগে, এদিন দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বিজয়পুর রেল ক্রসিংয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে তিন স্কুলছাত্রী নিহত হয়। চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতির ধাক্কায় তারা নিহত হয়। দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ ছাত্র ও জনতা রেলগেট এবং স্কুলে ভাঙচুর চালায়।
আরও পড়ুন
>>> ‘আমার মাইয়া ভাত খাইতে পারলো না’
>>> কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল ৩ স্কুলছাত্রীর
>>> ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ ছাত্রী নিহত: তদন্ত কমিটি গঠন
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২২
এনটি