ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ঊর্ধ্বমুখী বাজার দরে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২২
ঊর্ধ্বমুখী বাজার দরে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: কাঁচাবাজারে প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। প্রতিনিয়তই বাড়ছে ভোজ্যতেল, পিঁয়াজ, চিনি ও চালের দাম।

সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে নিম্নআয়ের মানুষরা না খেয়ে মরবে।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে বাজার দরের এমন চিত্র দেখা যায়।

কালশী বাজারে আসা গৃহিণী রাজিয়া সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রতিনিয়তই হিমশিম খাচ্ছি বাজার করতে এসে। লাগামহীন ভাবেই বেড়ে চলেছে দ্রব্যমূল্যের দাম। একটা জিনিস কিনতে গেলে দুটো জিনিস কিনতে পারছি না।

তিনি বলেন, ২ সপ্তাহ আগে পেঁয়াজের দাম ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। এখন পেঁয়াজের দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। বাজারে পাওয়া যাচ্ছেনা খুচরা তেল। বোতলজাত ভোজ্যতেল লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। বিক্রেতারা যার কাছ থেকে যেভাবে পারছেন তেলের দাম নিচ্ছেন। বেড়েছে চালের দামও। ৫০ কেজি চালের বস্তায় বেড়েছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। আমরা মধ্যম আয়ের মানুষ, কোনো না কোনোভাবে খেয়ে পড়ে বেঁচে আছে। কিন্তু নিম্ন আয়ের মানুষ কিভাবে বাঁচবে। তাদের তো এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে না খেয়ে মরতে হবে।

কালশী বাজারের ভোজ্যতেল ও চাল বিক্রেতা মো. রহিম বাংলানিউজকে বলেন, হঠাৎ করে বাজারের সব পণ্যের দাম কেন বেড়েছে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। চালের সিজন শেষ হওয়ায় বেড়েছে চালের দাম। এছাড়াও চাল ও তেলের দাম বাড়ায় রয়েছে সিন্ডিকেটের প্রভাব।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারে এসেছেন রাজমিস্ত্রি দেলোয়ার হোসেন। তিনি থাকেন বাউনিয়াবাধ এলাকার একটি মেসে। তিন সন্তান স্ত্রী থাকে জামালপুর। প্রতিমাসে ১১ হাজার টাকার আয় করেন। সেই টাকা দিয়ে নিজের খরচ যেমন মেটানো হয় তেমনি পরিবারে মাসে মাসে টাকা পাঠাতে হয়।

দেলোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, মেসে আগে খাবারের জন্য মিল খরচ দিতে হতো আড়াই হাজার টাকা। ৬ মাস ধরে দিতে হচ্ছে ৩ হাজার টাকা। আর পরিবারে মাসে পাঠানো লাগতো ৬ হাজার টাকা। এখন পাঠাতে হয় ৮ হাজার টাকা।

সালাউদ্দিন মোহাম্মদ ঋজু একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। সংসারের স্বচ্ছলতা ছিল। কিন্তু করোনাকালে তার চাকরিটা চলে যায়। এখন তার স্ত্রীর রোজগারে সংসার চলছে। ঋজু বলেন, বাসা ভাড়া দিয়ে দেই, এরপরে যা টাকা থাকে তা দিয়ে অনেক কষ্ট করে চলতে হয়। কখনো খাই আবার মাঝে মধ্যে না খেয়ে থাকি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২২
এমএমআই/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।