ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পাকসেনাদের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাইলেন জয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২২
পাকসেনাদের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাইলেন জয় সজীব ওয়াজেদ জয়

ঢাকা: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নৃশংস কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।

শুক্রবার (২৫ মার্চ) সজীব ওয়াজেদ তার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘পাকিস্তানিদের সেনা কর্তৃক বাঙালিদের ওপর এই জঘন্য গণহত্যার অপরাধটি এখনো বিশ্বজুড়ে সেভাবে স্বীকৃত হয়নি।

১৯৭১-এর এই অমানবিক অপরাধকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি না দিলে তা শুধু হত্যার শিকার ব্যক্তিদের স্মৃতির প্রতিই অবিচার হবে না, বরং তা হবে ইতিহাসের প্রতিই অবিচার। ’

সজীব ওয়াজেদ জয় লেখেন, ‘শুধুমাত্র একটি উন্নত জীবন যাত্রা চাওয়ার কারণেই ১৯৭১ সালে পাকসেনারা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে হত্যা করেছিল। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের কাছে বাঙালিরা সম অধিকারের স্বীকৃতি চেয়েছিল। কিন্তু তার পরিবর্তে, ঘুমন্ত অবস্থায় বাঙালিদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। ’

ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও বলেন, ‘২৫ শে মার্চ, ইয়াহিয়া খানের অধীনে থাকা টিক্কা খান ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু করার জন্য ডেথ স্কোয়াডকে একত্রিত করে এবং তারা এক রাতে সাত হাজার বাঙালিকে হত্যা করে। সেই দিন থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি সৈন্যরা ২ লাখের বেশি নারীকে ধর্ষণ এবং ৩০ লাখের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। এই ব্যাপক গণহত্যার ফলে তিন থেকে চার কোটি বাঙালি বাস্তচ্যুত হয় এবং এক কোটিরও বেশি মানুষ পার্শ্ববর্তী ভারতে আশ্রয় নেয়। ’

পাক হানাদার বাহিনীর গণহত্যা বিষয়ে ‘হামুদুর রহমান কমিশন রিপোর্ট’র কথা উল্লেখ করে জয় বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানিদের গণহত্যার চালানোর একটি উল্লেখযোগ্য নথি হলো ‘হামুদুর রহমান কমিশন রিপোর্ট’। এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে: তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে মোতায়েন করা পাকিস্তানি সৈন্যরা বাঙালিদের ওপর ব্যাপক নৃশংসতা চালিয়েছে, এমনকি বহুমাত্রিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্যেও ওই রিপোর্টে পাকিস্তানি সেনাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর সব কপি পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২২
এমইউএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।