ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বসুন্ধরা গ্রুপ দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২২
বসুন্ধরা গ্রুপ দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে

কুমিল্লা: কুমিল্লার হোমনায় বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে পরিচালিত বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের পল্লী ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের আওতায় ৬১তম সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠান হয়েছে।  

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে হোমনা উপজেলার হরিপুর গ্রামে পাঁচ ধাপের শেষ ধাপে ঋণ বিতরণের মধ্য দিয়ে ৬১তম সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ কর্মসূচি শেষ হয়েছে।

 

এদিন মোট ১৪৬ জন উপকারভোগীর মধ্যে মোট ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। এনিয়ে মোট পাঁচটি ধাপে ৬০৫ জন উপকারভোগীর মধ্যে ৬১তম সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ৬৯ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা।

মঙ্গলবার দুপুরে হোমনা উপজেলার হরিপুর গ্রামে ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দেশের প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক, নাট্যকার ও বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন।  

বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ময়নাল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন হোমনা পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম।  

এসময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইনুল কবির, সিনিয়র অফিসার আমির হোসেন আনোয়ার, ডেপুটি ম্যানেজার মোশারফ হোসেন ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইমদাদুল হক মিলন বলেন, পৃথিবীর কোথাও সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ করা হয় বলে আমার জানা নেই। মানুষের কল্যাণের জন্য এভাবে সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ শুধুমাত্র বসুন্ধরার পক্ষেই সম্ভব। বসুন্ধরা গ্রুপ দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হলে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আমাকে বললেন, উত্তরবঙ্গের মানুষ কষ্টে আছে। তাদের জন্য কী করা যায়? তখন আমি বললাম, মানুষের খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। এরপর তিনি ৫০ হাজার পরিবারকে এক মাসের খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে দেওয়া এসব খাদ্য সহায়তা পেয়ে মানুষ বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য হাত তুলে দোয়া করেছে। শীতের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে দেড় লাখ দরিদ্র মানুষকে শীতবস্ত্র দিয়েছেন তিনি। মানুষ শীতবস্ত্র পেয়ে বসুন্ধরার জন্য দোয়া করেছে। আমরা আপনাদের কাছ থেকে দোয়াটাই চাই।

তিনি বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান। গত পাঁচ বছরে তার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছি আমরা। এ পর্যন্ত ৪৫০ জন দরিদ্র ছেলেমেয়ের পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি এদেশের বিভিন্ন স্থানে অসহায় মানুষদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। যাদের ঘর নেই, তাদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। আবার অনেককে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন কিছু দিয়ে স্বাবলম্বী করে তুলতে সহায়তা করছেন। বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনও তার একটি সেবমূলক প্রতিষ্ঠান। যারা এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন, সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ পাচ্ছেন, তারা এ ঋণের অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঋণের অর্থ ফেরত দেবেন। তাহলে এ কার্যক্রম আরও প্রসারিত হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ময়নাল হোসেন চৌধুরী বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ২০০৫ সালে চিন্তা করলেন এলাকার মানুষের জন্য কী করা যায়। সেই চিন্তা থেকে ২০০৫ সালের ১২ আগস্ট থেকে শুরু হলো সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ। প্রথমে এ কার্যক্রম ছিল বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের জন্মস্থান বাঞ্ছারামপুর উপজেলায়। একপর্যায়ে তিনি বললেন, এ কার্যক্রম প্রসারিত করতে হবে। সেই নির্দেশনায় বর্তমানে তা পার্শ্ববর্তী উপজেলা হোমনা ও নবীনগরে বিস্তার লাভ করেছে। ২০০৫ সাল থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের সরাসরি তত্ত্বাবধানে নিয়মিত এ ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।