ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

হঠাৎ ট্রেন বন্ধে দুর্ভোগ, টিকিট ফেরত নিলেও টাকা গচ্ছা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
হঠাৎ ট্রেন বন্ধে দুর্ভোগ, টিকিট ফেরত নিলেও টাকা গচ্ছা অনেকেই প্লাটফর্মে শুয়ে বসে ট্রেন ছাড়ার অপেক্ষায় আছেন, ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে ট্রেন চলাচল বন্ধে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। আর টিকিট ফেরত নিলেও সার্ভিসের টাকা কেটে নেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসেছেন তারা।

ট্রেন সচল করতে বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কমলাপুরে গেছেন রেলপথমন্ত্রী ও সচিব। তবে কখন থেকে ট্রেন চালু হবে, তা নিশ্চিত না। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

ছেলের চিকিৎসার কাজে ঢাকায় এসেছিলেন রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিনি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ব্যবসায়ী
মাহবুবুল আজিম শিপন। বাড়ি ফিরতে সকালে কমলাপুরে গিয়েই পড়েন বিপাকে। জানতে পারেন ট্রেন চলবে না।

তিনি জানান, ভোগান্তির এক শেষ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। কোনো সুরাহা না হওয়ায় সকালে উপস্থিত সব ট্রেনযাত্রীর টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু দুই টিকেটে ৪০ টাকা কম দিয়েছে। ট্রেন যাক না যাক কোনো কথা নাই। টাকা কম পেলাম কেন রেলমন্ত্রী জবাব চাই?

অনেকেই প্লাটফর্মে শুয়ে বসে ট্রেন ছাড়ার অপেক্ষায় আছেন।  ট্রেন বন্ধে ফেসবুকে রেলওয়ের ফেসবুক ফ্যানপেজে ক্ষোভ জানিয়েছেন যাত্রীদের অনেকেই।

খুলনা থেকে আজিজুল হাকিম লিখেছেন, এ কেমন দেশে বসবাস করছি আমরা বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গণধর্মঘট করছেন। তারা নাকি সরকারি চাকরি করেন? সরকারি চাকরিজীবীরা যদি এমন করেন, তাহলে দেশ তো রসাতলে যাবেই। রেলওয়ে থেকে কোনো প্রকার চিঠি ছাড়াই তারা ধর্মঘট করেছে, এটা কেমন কথা।  
সাধারণ মানুষকে ভুগিয়ে এমন কাজ করা কি তাদের আদৌ ঠিক হচ্ছে? রেল মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আর্কষণ করছি, আপনাদের সঙ্গে এনাদের কি হয়েছে, তা আমরা জানি না। আপনারা সাধারণ জনগণের কথা ভাবেন। আর কতো ভোগান্তি দিয়ে সাধারণ জনগণকে হয়রানি করবেন?

সাজ্জাদ শাহিন লিখেছেন, রানিং স্টাফদের ন্যায্য দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। একজন মানুষ চাকরি করবে, তার ন্যায্য বেতন, বোনাস, ভাতা সময়মতো পাওয়ার জন্য আন্দোলন করতে হয়? রেলের ইতিহাসে জঘন্যতম অধ্যায় চলছে, রানিং স্টাফদের মাইলেজ জটিলতা, ন্যায্য দাবির পক্ষে এক হাজার ৮৮৯ জন গেট কিপার একত্মতা প্রকাশ করেছেন।

তিনি লিখেছেন, তালবাহানা করে রেলকে পরিচালনা করা সম্ভব না, রেলের সম্মান বজায় রাখতে শ্রমিকদের দাবি মেনে নিতে হবে। রানিং স্টাফদের দাবি দ্রুত মেনে নেওয়া হোক। এক হাজার ৮৮৯ জন প্রকল্পের গেট কিপারের চাকরি রাজস্বকরণ দ্রুত করতে হবে, তা না হলে সারাদেশের সব রেল শ্রমিক একসঙ্গে রাজপথে নেমে পড়বে, রেলের ইতিহাসে বড় কিছুর সাক্ষী হয়ে থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
এমআইএইচ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।