যশোর: যশোরের অভয়নগরের সুন্দলী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত মেম্বার উত্তম সরকার ও মণিরামপুরে প্রকাশ মল্লিক খুনে তিন চরমপন্থিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) মাদারীপুরের সদর থানার পুরাতন বাজার থেকে চরমপন্থি কিরণকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ৩ জন হলেন পটুয়াখালী সদরের পুরান বাজারের মৃত নারায়ণ চন্দ্র সাহার ছেলে বাসুদেব সাহা ওরফে কিরণ, যশোরের অভয়নগরের রামসরা গ্রামের নিখিল মন্ডলের ছেলে দীপঙ্কর মন্ডল (৩৩) ও পঞ্চরাম মন্ডলের ছেলে কৃষ্ণপদ মন্ডল (৭০)।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) পুলিশ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর মণিরামপুরের মনোহরপুর মাছের ঘেরের মধ্যে প্রকাশ মল্লিক ওরফে ব্রিটিশ নামক এক চরমপন্থি সদস্যকে খুন করা হয়। আর চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি অভয়নগরের সুন্দলী ইউনিয়নের হরিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার উত্তম সরকারকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে। এই দুটি খুনে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়। যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার দ্রুত সময়ে রহস্য উদঘাটনের জন্য মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন।
মামলা দুটি তদন্তকালে ইতোপূর্বে ১২ চরমপন্থি সংগঠনের সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে ডিবি। উদ্ধার করা হয় অবৈধ অস্ত্র। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্তে পৃথক ৪টি মামলা হয়। তদন্তে পুলিশ জানতে পারেন আসামিরা নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির কথিত চরমপন্থি সংগঠনের পরিচয় দিয়ে অভয়নগর ও মণিরামপুর এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়নের মেম্বার ও বিত্তশালীদের ফোন করে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে হত্যা করে ত্রাস সৃষ্টি করে। এরই ধারাবাহিকতায় ইউপি সদস্য উত্তম সরকার ও তাদের দলীয় সদস্য প্রকাশ মল্লিকে হত্যা করে। কথিত চরমপন্থি সংগঠনের নেতা কিরণ ওরফে বাদল ওরফে কিশোর ওরফে মাহমুদুর রহমান তপন রয়ে যায় অদৃশ্য ঠিকানা বিহীন।
যশোর ডিবি’র এসআই শামীম হোসেন তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে একাধিক ছদ্মনামধারী কিরণকে গ্রেফতারের জন্য ১৯ এপ্রিল ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, পটুয়াখালী এলাকায় অভিযান চালায়। সবশেষ মাদারীপুর জেলার সদর থানা এলাকা থেকে ২২ এপ্রিল কিরণকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে দুটি হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা এবং তার তথ্যের ভিত্তিতে দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২২
ইউজি/কেএআর