ঢাকা, সোমবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

সিডিউল ফ্লাইটেও কোনো হজ যাত্রী পাঠাবে না হাব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২২
সিডিউল ফ্লাইটেও কোনো হজ যাত্রী পাঠাবে না হাব

ঢাকা: এ বছর হজ ফ্লাইটের জন্য যাত্রী প্রতি ভাড়া এক লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। তবে এই ভাড়া অনেক বেশি, ভাড়া আরও কমা উচিত।

এটি একটি যৌক্তিক পর্যায়ে থাকা উচিত বলে জানিয়েছেন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম। একই সঙ্গে এবছর ডেডিকেটেড ফ্লাইট ছাড়া একটি সিডিউল ফ্লাইটেও কোনো হজ যাত্রী পাঠাবে না বলেও জানান তিনি।
 
বুধবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে হজ সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।  

হাব এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ভাড়ার যে যৌক্তিকতা আমরা এখানে উপস্থাপন করেছিলাম। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তও দিয়েছি। দুটি এয়ারলাইনস বিমান এবং সৌদি এয়ারলাইনস, তাদের জুন মাসের যে প্রদর্শিত ভাড়া সেটা আমরা উপস্থাপন করেছি। সেটা গড় করলে এখন এক লাখ ১০ হাজার টাকার মধ্যে থাকে। অর্থাৎ ভাড়া কমানো যায়। বিভিন্ন সময় যখনই ভাড়া বাড়ানো হয়েছে বরাবরই ফুয়েলের কথাটাই বলা হয়। এবছর ফুয়েলের দাম বেড়েছে, তবে আগেও ভাড়া যখন বেড়েছে এটার কথা বলেই হয়েছে।

তিনি বলেন, আজ আমাদের প্রস্তাব ছিল ভাড়া আরও কমানো এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়েরও প্রস্তাব ছিল এক লাখ ২৫ হাজার টাকা। আমরা মনে করি ভাড়া আরও কমানো উচিত। এটি একটি যৌক্তিক পর্যায়ে থাকা উচিত। আমরা হজ যাত্রীদের নিবন্ধন করেছি কোভিডের আগে, তখন তাদের একটি প্রাইজ দিয়েছি, সেখানে যে দাম দিয়েছি এখন কিন্তু সেটা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। সৌদি অ্যান্ড থেকেও বেড়েছে। বাংলাদেশ অ্যান্ড থেকে প্রয়োজন ছিল, যেহেতু বিমানও আমাদের যাত্রীরাও আমাদের, ভাড়া কমানো যেতো। আমি বলবো এটা একটু রিভিউ করেন।

এ বছর ডেডিকেটেড ফ্লাইট ছাড়া কোনো সিডিউল ফ্লাইটে হজযাত্রী পাঠানো হবে না জানিয়ে হাবের সভাপতি শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, আমরা একটি কথা জানিয়ে দিয়েছি। এই ভাড়া নেওয়া হয় ডেডিকেটেড ফ্লাইটের (যে ফ্লাইটে শুধু হজযাত্রীদের পরিবহন করা হয়) জন্য। কিন্তু হজযাত্রীদের বেশির ভাগকে নেওয়া হয় সিডিউল ফ্লাইটে। ২০১৯ সালে হজের সময় মোট ৩৬৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে, এরমধ্যে ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে মাত্র ১৪৯টি। কিন্তু ৩৬৬টি ডেডিকেটেড ফ্লাইটেরই ভাড়া নেওয়া হয়েছে। এটা যাতে না হয়।

তিনি বলেন, এবছর একটি সিডিউল ফ্লাইটেও কোনো হজ যাত্রী হাব পাঠাবে না। ডেডিকেটেড ফ্লাইট হলেই কেবল বাংলাদেশি যাত্রীদের ইমিগ্রেশন এখানে করা সম্ভব হবে। না হলে এটা সম্ভব হবে না। বিষয়টি আমি বিবেচনার জন্য বলবো।

আগামী ৩১ মে থেকে হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব নয় জানিয়ে হাব সভাপতি বলেন, ‘নিবন্ধনের বিভিন্ন কাজ রয়েছে, এজেন্সি টু এজেন্সি সমন্বয়, মোনাজ্জেম নির্বাচন, সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া, পরিবহন, খাবারের ব্যবস্থা সবকিছুর পর ভিসা হবে এরপর হজযাত্রী যাবেন। এটা বিশাল একটা প্রক্রিয়া। সঙ্গত কারণে ৩১ মে থেকে হজযাত্রী প্রেরণের জন্য কোনোভাবেই হাব প্রস্তুতি নিতে পারবে না, এটা সম্ভব নয়। সৌদি আরব অংশে খরচ কত হবে সেটা আমরা এখনও জানতে পারিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২২
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।