ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

এলমা আত্মহত্যা করেনি তাকে হত্যা করা হয়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২২
এলমা আত্মহত্যা করেনি তাকে হত্যা করা হয়েছে

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এলমা চৌধুরী মেঘলার মা  শারমীন চৌধুরী অভিযোগ করেছেন তার মেয়েকে নির্মমভাবে অমানসিক নির্যাতন করে হত্যা করেছে স্বামী ইফতেখার। গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে এখনও জমা হয়নি, কিন্তু ঘাতককে জামিন দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, হত্যার ঘটনার পর পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে বলা হয়, নিহত এলমার শরীরে আঘাতের চিহ্ন, বীর্যের উপস্থিতি, রয়েছে। কিন্তু ময়না তদন্তে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। সুরতহাল রিপোর্টে ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে চিকিৎসকের মতামত রয়েছে। তবে বর্তমানে এই হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যা হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। এখন আমরা আসামি পক্ষের প্রভাব ও প্রতিপত্তির কাছে টিকে থাকতে পারছি না। এলমাকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় আমি তার ঘাতক স্বামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

বুধবার (২৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান শারমীন চৌধুরী।

এ সময় তিনি অনতিবিলম্বে ঘাতক ইফতেখারের জামিন বাতিল করে পুনরায় কারাগারে পাঠানোর দাবি জানান। সেই সঙ্গে ইফতেখার যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য সীমান্ত ও ইমিগ্রেশনে রেড এলার্ড জারি করার অনুরোধও জানান তিনি।

শারমীন চৌধুরী বলেন, আমার মেয়ে এলমা হত্যার বিচার চাইতে এই দুয়ারে, ওই দুয়ারে ঘুরতে ঘুরতে আমি হতাশ। আমরা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আমাদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু হত্যাকারী জামিনে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি গোয়েন্দা পুলিশ আমাদের তলব করে হয়রানি করে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন জানানোর নামে মানসিকভাবে হয়রানি করে। এলমা আত্মহত্যা করেছে বলে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।

তিনি বলেন, পুলিশের আলামত জব্দের সময়, আর এলমার হাসপাতালে ভর্তির সময়ের মধ্যে একটি বিরাট ফাঁকি আছে। পুলিশ আলামত সংগ্রহের ৭ দিন পর তা জমা দিয়েছে। জব্দ তালিকায় আত্মহত্যার প্রমাণ হিসেবে যা সাবমিট করা হয়েছে তার আইনগত কোনো বৈধতা নেই। এরপরও আদালত ঘাতক আসামিকে জামিন দিয়েছে। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২২
এসজেএ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।