ঢাকা, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এনআইডি বাতিল ও নিখোঁজ দেখিয়ে সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২২
এনআইডি বাতিল ও নিখোঁজ দেখিয়ে সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগ

ঢাকা: আমি জীবিত অবস্থায় আপনাদের সামনে কথা বলছি, অথচ নির্বাচন কমিশনের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাকে ‘অস্তিত্বহীন’ (নিখোঁজ) দেখিয়ে আমার সম্পদ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে আমার জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এই চক্র আমার কিছু সম্পদ আত্মসাৎ করে জবর দখল করে রেখেছে এবং অবশিষ্ট সম্পত্তি কব্জায় নিতে নানারকম চক্রান্ত করে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টা বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন শ্রী ফনি ভূষণ মণ্ডল।

তিনি বলেন, বংশ পরম্পরায় আমার পিতা, ঠাকুরদাদা এবং তার ঠাকুরদাদাসহ পূর্বপুরুষ সবাই জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক। সুদীর্ঘকাল ধরে উল্লিখিত ঠিকানায় আমরা বসবাস করে আসছি এবং আমার পরিবার নিয়ে তাদের রেখে যাওয়া ঘরবাড়ি, জমিজমা উত্তরাধিকার সূত্রে ভোগদখল করছি। কিন্তু স্থানীয় বিএনপির কতিপয় নেতা-কর্মী পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে আমার প্রাপ্য অংশ অন্যায়ভাবে গ্রাস করার জন্য প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে স্থানীয় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা সরদারের ছেলে মো. মর্তুজা সরদারের মিথ্যা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই আমার এনআইডি কার্ড স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। আমার জাতীয় পরিচয়পত্র (নং- ১৯৪৮০১২০৮০৩০০০০০১) এর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে যে তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দিয়েছেন, তা প্রত্যাহার করে আবার তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, চক্রটি তাদের সাজানো ষড়যন্ত্রে আমাকে ফাঁসাতে আমার জাতীয় পরিচয়পত্রের বিরুদ্ধে একটি অসত্য ও মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করে নির্বাচন কমিশনে। অতঃপর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়, খুলনা অঞ্চল, খুলনার পত্র নং ১৭.05.0000,000.27002.২১.৭৫৭, তারিখ ০২/০৯/২০২১ ইং মূলে বিগত ০৬/০৯/২০২১ ইং তারিখে তদন্তকার্যের দিন ধার্য করে আমার জাতীয় পরিচয়পত্র বিষয়ে একটি মিথ্যা বানোয়াট তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে দাখিল করলে নির্বাচন কমিশন আমাকে কোনো প্রকার অবহিত না করে বা আমাকে কোনো প্রকার নোটিশ প্রদান না করে একতরফাভাবে জাতীয় পরিচয়পত্রটি স্থগিত করে, যা আমার নাগরিক অধিকার হরণের সামিল।

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চক্রটি আমার জাতীয় পরিচয়পত্র স্থগিত করে কাগজপত্রে আমাকে পরিচয়হীন বানিয়ে আমার সম্পত্তি গ্রাসের যে অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে- তা থেকে নিস্তার পেতে এবং আমার বৈধ সম্পত্তি আমি যাতে স্বাধীনভাবে ভোগদখল বা ব্যবহার করতে পারি, সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে আপনাদের মাধ্যমে সে সহযোগিতা চাচ্ছি। একইসঙ্গে আবার নিরপেক্ষ তদন্ত করে আমার জাতীয় পরিচয়পত্রটির স্থগিত অবস্থা প্রত্যাহার বা অবমুক্ত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২২
এসএমএকে/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।