ঢাকা, সোমবার, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৩ জুন ২০২৪, ২৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

নাসিম ওসমানের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২২
নাসিম ওসমানের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের উত্তরসূরী নাসিম ওসমানের মৃত্যু হয়েছে আজ ৮ বছর।  

২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল ভারতের রাজধানী দিল্লির দেরাদুন শহরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন নাসিম ওসমান।

তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে ১৯৮৮৪, ১৯৮৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

প্রয়াত নাসিম ওসমান নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের প্রয়াত ভাষা সৈনিক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠন, সাবেক এম এল এ, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহোচর ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠার অন্যতম ব্যক্তিত্ব মরহুম একেএম শামসুজ্জোহা ও প্রয়াত ভাষা সৈনিক নাগিনা জোহার বড় ছেলে এবং বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ-৫ ও ৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান ও একেএম শামীম ওসমানের বড় ভাই। সেই সঙ্গে তিনি ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে সব থেকে বেশি মেয়াদে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।

নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর সংসদে বক্তব্য দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নাসিম ওসমানের শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওসমান পরিবারের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর একটা নিবিড় সম্পর্ক ছিল। ওই পরিবারে বসেই জন্ম হয়েছিল আওয়ামী লীগের। শামীম ওসমানের দাদা খান সাহেব ওসমান আলী এবং বাবা শামছুজ্জোহা খান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত কাছের মানুষ। নাসিম ওসমান বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে একটি যুব ব্রিগেড গড়ে তুলেছিলেন। পরে জাতীয় পার্টি করলেও তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের। ’

আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ওসমান পরিবারের অবদানের কথা স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যদি তাদের প্রয়োজন হয়, দেখাশোনা করব। ’

জীবদ্দশায় নাসিম ওসমান শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। নারায়ণগঞ্জ এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতু নির্মাণের শেষ দিকেই এ সেতুর নামকরণ করা হয় ‘নাসিম ওসমান সেতু’।

শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে ছিল জাতীয় পার্টির কার্যালয়। সেখানে নিয়মিত বসতেন নাসিম ওসমান। আজ সেই কার্যালয় ভেঙে বহুতল ভবন করা হচ্ছে।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে শনিবার (৩০ এপ্রিল) বাদ আসর মাসদাইরে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় কবরস্থান মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি বন্দরে পুরান বন্দর চৌধুরী বাড়ি এলাকায় অবস্থিত নাসিম ওসমান মডেল হাইস্কুল মাঠে আরও একটি দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

মাসদাইরে কবরস্থান মসজিদে অনুষ্ঠিত হওয়া দোয়ায় উপস্থিত থাকবেন তাঁর ছোট ভাই নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান এবং বন্দরে নাসিম ওসমান মডেল হাইস্কুল মাঠে উপস্থিত থাকবেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান।

ওই দোয়ায় সবাইকে অংশ নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন প্রয়াত নাসিম ওসমানের ছোট ভাই একেএম সেলিম ওসমান। শুক্রবার ২৯ এপ্রিল জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি সবার প্রতি দোয়া শরিক হওয়ার আহ্বান রাখেন।

এ সময় তিনি বলেন, আমার বড় ভাই নাসিম ওসমান আপনাদের সহকর্মী ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যা করা হলে নাসিম ওসমান নববধূকে রেখে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে বাড়ি ছেড়ে গিয়ে আরেকটি যুদ্ধে অংশ নেন। এরপর তিনি দীর্ঘ সময় ভারতে অবস্থান করেন। ২০১৪ সালে কোন এক কাজে সেই ভারতে গিয়েই ওখানেই তার মৃত্যু হয়। আজ তার ৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। আপনাদের সবাইকে দোয়ায় অংশ নিয়ে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান রাখছি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২২
এমআরপি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad