ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স দেয়ার ঘোষণা বরিশালের মেয়রের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স দেয়ার ঘোষণা বরিশালের মেয়রের ব‌রিশাল সি‌টি কর‌পো‌রেশ‌নের মেয়র সের‌নিয়াবাত সা‌দিক আব্দুল্লাহ

বরিশাল: ‌ব‌রিশাল সি‌টি কর‌পো‌রেশ‌নের মেয়র সের‌নিয়াবাত সা‌দিক আব্দুল্লাহ ব্যাটারিচালিত ই‌জিবাইক ও রিকশা মা‌লিক শ্রমিকদের উ‌দ্দে‌শ্যে ব‌লে‌ছেন, ব্যাটারি চালিত রিকশার প্রতিটি চালকের সাত দিনের প্রশিক্ষণ হবে, আপনাদের জন্য আলাদা আইন হবে, সব রাস্তা দিয়ে চলতে পারবেন। পুলিশের সাথে সাথে আলাদা কর্মীও দেয়া হবে যাতে কেউ আপনাদের টাকা পয়সা অবৈধভাবে লুটতরাজ করতে না পারে।

আমাকে যদি সুযোগ দেন, সরকারের যে সিস্টেম বা নিয়ম আছে তা মেনে করতে দেন। প্রতিটি চালকের লাইসেন্স দেয়া হবে, পোশাক দেয়া হবে।  

সোমবার  (১৬ মে) বিকেলে বরিশাল নগনেরর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ব‌রিশাল জেলা ও মহানগর (ব্যাটারিচালিত) ই‌জিবাইক শ্রমিক কল্যান সংগঠ‌নের উদ্যোগে ব‌রিশাল মহানগর ই‌জিবাইক মা‌লিক শ্রমিক ও  ব্যাটারিচালিত রিকশা মা‌লিক শ্রমিক‌দের সমা‌বে‌শে প্রধান অ‌তি‌থির বক্ত‌ব্যে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

মেয়র সের‌নিয়াবাত সা‌দিক আব্দুল্লাহ বলেন, এই শহরের কারও কাছ থেকে কেউ চাঁদা নেয় না, সিটি করপোরেশন কোন পয়সা নেয়না। মেয়র হওয়ার আগেও আপনাদের পক্ষে ছিলাম, মেয়র হওয়ার পরেও পক্ষে আছি। সিটি করপোরেশনের দুই হাজার ৬১০ টি ব্যাটারিচালিত ই‌জিবাইকের রেজিষ্ট্রেশন দিয়েছিল। করপোরেশনের  সেই বিভাগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কারণ ৫-১০ হাজার গাড়ি, যাদের রেজিষ্ট্রেশন নাই তারা রাস্তায় পয়সা দিয়ে চলছে আর আপনারা যারা বৈধ তারা সিটি করপোরেশনকেও পয়সা দেবেন আবার রাস্তায় অন্য কাওকে পয়সা দেবেন এটা হয় না। এসব কারণে বছরে ১ কোটি টাকার নষ্ট হচ্ছে সিটি করপোরেশনের। তারপরও বলেন আপনারা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে আমি কোথাও বাধা দিয়েছি।

তিনি বলেন, আজ যে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে, সেখানে শ্রমিকদের কথা তো দেখিনা। একটি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের কথা লেখা। যেই তারা আজ শুনছে আমি পারমিশন দিতেছি। এখন তারা নাটক শুরু করছে। আমি আগে কোনদিন এসব কথা বলিনি, আজ  বলতে বাধ্য হলাম। কোনো লোকের কাছে আপনাদের পয়সা দিয়ে চলা লাগবে না। যদি পয়সা দেন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিষ্ঠান বরিশাল সিটি করপোরেশনে দেবেন, যারা এগুলো গুছিয়ে দেয়ার অধিকার রাখে। সরকারের রাজস্বে পয়সা দেবেন, কোনো ব্যক্তিকে নয়। কোনো ব্যক্তি আপনাদের কোনো পারমিশন করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে না। সিটি করপোরেশনই আপনাদের পারমিশন দিতে পারছে, আপনাদের দেখভাল করতে পারছে, আমি মেয়র না থাকলে যে থাকবে তাকেও ধরতে পারবেন কিন্তু এখন আপনারা ঢাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কি ধরবেন। তখন গরীবের পেটে লাথি মারা হয়ে যাবে।  

মেয়র বলেন, আমার সামর্থ্য অনুযায়ী আমি আপনাদের জন্য করে যাবো। আমি প্রতিটি ওয়ার্ডে আমি চার্জের ব্যবস্থা করে দেবো। আপনারা চার্জ দিয়ে টাকা দেবেন, সরকার টাকা পাবে। আর ওই চার্জিং স্টেশনে আপনাদের মতো আরও চারজন ভাই কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে।  

তিনি বলেন,  আমাকে সময় দেন, ১-২ মাসের মধ্য সবকিছু রেডি করে সর্বোচ্চ তিনমাসের মধ্যে পারমিশন দিয়ে দেবো। আজকে থেকেই আপনাদের পারমিশন হবে না। বিভিন্ন দপ্তরসহ ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে বসবো। আইন করবো নীতি করবো। তবে অনুমোদন হবে তাতে কোনো সন্দেহ নাই। রিনিউ ফি আগের চেয়েও কমিয়ে দেব। এছাড়া যাত্রী নিরাপত্তায় গাড়ির ফিটনেস ঠিক আছে কিনা তা চেক করা হবে।

সমা‌বে‌শে ব‌রিশাল মহানগর শ্রমিকলী‌গের সাধারণ সম্পাদক প‌রিমল চন্দ্র দাসসহ অ‌নে‌কে উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

বাংলাদেশ সময়:২১২৫ ঘন্টা, মে ১৬, ২০২২

ইআর 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।