ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

জমি অধিগ্রহণ-ক্ষতিপূরণের দাবিতে ইছামতি পাড়ের বসতিদের মানববন্ধন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
জমি অধিগ্রহণ-ক্ষতিপূরণের দাবিতে ইছামতি পাড়ের বসতিদের মানববন্ধন

পাবনা: পাবনায় ইছামতি নদীর পাড়ের ৪টি বৈধ রেকর্ডধারী শত বছর ধরে বসবাসকারী ও ভূমি মালিকদের জায়গা অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

সোমবার (১৬ মে) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এই কর্মসূচি পালন করেন ইছামতি নদী পাড়ের বৈধ বসতি স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- প্রফেসর কামরুল ইসলাম, মাসুদুর রহমান মিন্টু, আবুল কালাম আজাদ, আফরোজা নাহার, মিসেস নয়ন প্রমুখ।

মানবন্ধনে নদী পারের বৈধ বসতি দাবিদারদের পরিবার-পরিজন বাবা, মা, স্ত্রী, সন্তানসহ শতাধিত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

বক্তারা বলেন, শত বছর ধরে পৈত্রিকভাবে পাওয়া নদী পারের বৈধ জায়গার ওপরে স্থাপনা নির্মাণ করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছি আমরা। সরকারের নিয়ম মেনে খাজনা খারিজ পরিশোধ করছি। এই জমির ৪টি পাকা রেকর্ড রয়েছে আমাদের কাছে। তবে কেমন করে এই জমি অবৈধ বলে তাদের উচ্ছে করা হচ্ছে। এই ইছামতি নদী উদ্ধার, সংস্কার ও খনন করছে সরকার। কিন্তু নদী পাড়ের বৈধ বসতিদের অবৈধভাবে উচ্ছেদ করে তাদের সর্বশান্ত করা হচ্ছে। নদীর গতিপথ ফিরিয়ে আনার জন্য নদী পারের বৈধ বসতিদের স্থাপনা জমি অধিগ্রহণসহ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে পারতো সরকার। সরকারের দিকনির্দেশনা থাকায় আইনগতভাবে সঠিক বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি আমরা। আমাদের আশা অসহায় মানুষদের পাশে মানবিক সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবেন প্রধানমন্ত্রী। তাই সরকার প্রধানের সুদৃষ্টি কামনা করছি আমরা।  

তারা আরও বলেন, এই উচ্ছেদের ফলে মাথা গোঁজার কোনো জায়গা নেই বেশিরভাগ পরিবারের। বৈধ জায়গা আজ অবৈধ বলাতে দিশেহারা হয়ে পরেছেন তারা। এসময় শতশত নারী পুরুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন। উচ্ছেদের পরে পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকছে না আমাদের।  

তাই নদী কমিশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সরকার প্রধানের সুদৃষ্টি কামনা করেন ভুক্তভোগীরা। একই সঙ্গে ইছামিত নদী পারের বৈধ বসতিদের ক্ষতিপূরণের মধ্যদিয়ে পুরর্বাসনের সুযোগ দেবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা নদী পাড়ের সাধারণ মানুষদের। পরে মানবন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।