শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় ইদিলপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিলীপ কুমার মণ্ডলের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রী ও তার পরিবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছে।
এদিকে ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক দিলীপ কুমার মণ্ডল ইদিলপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞানের শিক্ষক। তিনি গোসাইরহাট উপজেলার মাছুয়াখালি এলাকার বাসিন্দা।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মু. এমদাদ হোসাইন ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শিক্ষক দিলীপ কুমার মণ্ডল কুপ্রস্তাব দেয়। তাই ছাত্রী ও তার পরিবার প্রধান শিক্ষক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছে। পরে একে একে আরও ৬জন ছাত্রী একই অভিযোগ করে ও তাদের গায়ে হাত দেয় বলেও তারা অভিযোগ করে।
এ ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ক্লাসসহ বিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম থেকে দিলীপকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে (২০ মে) তাদের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। কমিটিতে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাওলানা শাহ আলম মিয়াকে প্রধান করে সহকারী শিক্ষক মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ইসমত আরা বেগম, রতন কুমার চক্রবর্তী ও মো. কামাল পারভেজকে সদস্য করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ওই শিক্ষক আমাকে প্রায়ই একা প্রাইভেট পড়তে যেতে বলতেন। তিনি আমাকে সোমবার (১৬ মে) দুপুরে তাঁর বাসায় একা প্রাইভেট পড়তে যেতে বলেন। আমি অনাগ্রহ প্রকাশ করলে তিনি জোর করেন। পরে আমি আমার পরিবারকে ঘটনাটি খুলে বলি।
ওই স্কুলের একাধিক ছাত্রীরা বলেন, দিলীপ কুমার স্যার আমাদের কুপ্রস্তাব দেয় এবং শাসনের ছলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ করে। আমরা এরকম স্যার চাই না।
এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষক দিলীপ কুমার মণ্ডল পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তার মোবাইলে একাধিক কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে গোসাইরহাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন দাস গুপ্ত বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলেই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২২
আরএ
