ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সিলেটে বন্যার্তদের পাশে দুই মন্ত্রী

‘বর্ষার আগেই খনন হবে সুরমা-কুশিয়ারা’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২২
‘বর্ষার আগেই খনন হবে সুরমা-কুশিয়ারা’

সিলেট: সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারা বর্ষার আগেই খনন করা হবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড একে আবুল মোমেন বলেছেন, নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। তাই বন্যার প্রকোপ ঠেকাতে এ দুই নদী বর্ষার আগেই খনন করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা নদী খননের পরিকল্পনা নিয়েছি। আগামী বর্ষার আগেই নদীগুলো খনন করতে হবে।   প্রধানমন্ত্রীও এ ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক।

বুধবার (১৮ মে) দুপুরে সিলেট নগরের চালিবন্দর এলাকার কিশোরীমোহন আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন ও বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলে তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ছেলেবেলায়ও দেখেছি এই মৌসুমে সিলেটে ঢল নামে। কিন্তু পানি আটকে থাকতো না। কেননা, শহরে অনেক পুকুর, জলাশয় ও দিঘী ছিল। প্রতিটি বাড়ির সামনে পুকুর ছিল। তাই সিলেটকে দিঘীর শহর বলা হতো। এখন আর নেই। সব পুকুর, জলাশয়-দিঘী ভরাট করে বড় বড় ভবন গড়ে ওঠেছে।

হাওরগুলোও আমরা ভরাট করে ফেলেছি। আর প্রধান নদীগুলোর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। এ কারণে পানি নামতে পারছে না। তাই যে কোনো দুর্যোগেই সিলেটের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই পুকুর-দিঘীসহ জলাশয়গুলো রক্ষায় সবাইকে আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন প্রাকৃতিক ধারাবাহিকতাকে নষ্ট না করে ছড়া, খাল খনন ও সম্প্রসারণের কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শনকালে বন্যার্তদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার আপনাদের পাশে আছে। এই পানি বেশিদিন থাকবে না। দ্রুতই নেমে যাবে। সাময়িক কয়েকটা দিন কষ্ট করতে হবে।

এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুল হক আশ্রয় কেন্দ্রের বাসিন্দাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।

সিলেটে বন্যাদুর্গত এলাকায় ২৫ লাখ টাকা ও ২০০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া আছে। প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখব। প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

তিনি বলেন, নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে। বন্যা মোকাবিলায় আগামীতে এ অঞ্চলের নদনদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে। নদীগুলো ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসান, মহানগর পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২২
এনইউ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।