ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্কুলে ফ্যানের বাতাস পেতে দিতে হবে ফি!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২২
স্কুলে ফ্যানের বাতাস পেতে দিতে হবে ফি! ছবি বাংলানিউজ

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ফ্যানের (বৈদ্যুতিক পাখা) বাতাসের জন্য মাসিক ফি আরোপ করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রতিমাসেই এই ফি দিতে হবে শিক্ষার্থীদের।


শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানায়, বিদ্যুৎ বিলের জন্য শিক্ষার্থীপ্রতি মাসিক ১০ টাকা ফি ধার্য করেছেন শিক্ষকরা। প্রতিমাসে ১০ টাকা হারে বছরে ১২০ টাকা পরিশোধ করতে হবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে। ইতোমধ্যে টাকা উত্তোলন শুরু হয়েছে।  

প্রতিষ্ঠানের এ নিয়ম নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে সচেতন নাগরিকদের মধ্যে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান, আমরা বেতন-সেশন ফি দেই। এরপরও প্রতিমাসে বিদ্যুৎ ফি চালু করা কতটা যৌক্তিক?

স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছেন, রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭৮০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এ হিসাব অনুযায়ী শিক্ষার্থীপ্রতি ১০ টাকা হারে প্রতিমাসে ৭ হাজার ৮০০ টাকা বিদ্যুৎ ফি বাবদ আদায় হওয়ার কথা। সে অনুযায়ী বছরে সর্বমোট ৯৩ হাজার ৬০০ টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে  নেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

অথচ স্কুল কর্তৃপক্ষই বলছেন, প্রতি মাসে তাদের বিদ্যুৎ বিল আসে এক থেকে দেড় হাজার টাকা। আর বছরে বিদ্যুৎ বিল আসে ১২-১৮ হাজার। এখন প্রশ্ন উঠেছে, বাকি টাকা কোথায় যাবে কিংবা কে নেবে?

রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন নেছার বলেন, তিন ভবনে এক-দেড় হাজার টাকা আসে। ৬০টি ফ্যান চলে। বিলটা দেবে কে? বিলটাতো কাউকে না কাউকে পে (পরিশোধ) করতে হবে। আমাদের সরকারি কোনো বরাদ্দ নেই। আমার কাছে মনে হয়েছে যেহেতু আমাদের খরচ বাড়তেছে, কিছু ইনকাম (আয়) বাড়া দরকার। বিদ্যুতের লাইন চালু করতে আমাদের প্রায় এক লাখ ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এই টাকাটাতো আমাদের ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া আমাদের লাইন সচল ছিল না।

তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বিদ্যুৎ বিল বাবদ টাকা নেওয়া চালু হয়েছে। আমরা শিক্ষকরা মিলে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।  

শিক্ষার্থীদের বেতন-সেশন কিংবা স্কুল ফান্ডের তহবিল থেকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারেন কিনা- এই প্রশ্নের উত্তরে প্রধান শিক্ষক বলেন, স্কুল ফান্ডের টাকা স্কুল উন্নয়নে ব্যয় করা হয়।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহা. মুজিবুর রহমান বলেন, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি এ ধরনের সিদ্ধান্ত বা রেজুলেশন নিয়েছে কিনা জানা নেই। বিদ্যুৎ বিল নেওয়ার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নাই। আমি খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখব।


বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২২
এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।