ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

২৪ ঘণ্টার মধ্যে নাটোরে দুই চিকিৎসকসহ পাঁচজনকে গ্রেফতারের আদেশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৪ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২২
২৪ ঘণ্টার মধ্যে নাটোরে দুই চিকিৎসকসহ পাঁচজনকে গ্রেফতারের আদেশ

নাটোর: নাটোরে হত্যার প্রস্তুতি গ্রহণসংক্রান্ত এক মামলায় সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সুমনা সরকার (৪৫)-সহ ৫ জনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অন্যথায় এ ব্যাপারে আদেশের অনুলিপি ডিআইজি ও আইজিপি বরাবর পাঠানো হবে বলেও হুঁশিয়ার করা হয়।

বুধবার (২৫ মে) দুপুর দুইটার সময় নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলজার রহমান এ আদেশ দেন। এসময় বিচারক আদালত চলাকালে এজলাসে বসেই নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মুঠোফোনে এ আদেশ দেন।

ওই মামলার অপর ৪ জন আসামী হলেন, ডা. সুমনা সরকারের বোন একই হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা সাগরিকা সরকার (৩০), করুণা রানী সরকার (৫৫), বাবা সুনীতি রঞ্জন সরকার (৬০) এবং সহযোগী মো. মাসুম (৫০)। তাদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

নাটোর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৫ অক্টোবর নাটোর জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অজিত কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে সুমনা সরকারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যার প্রস্তুতি গ্রহণসংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলাটি দুই দফা তদন্ত হয়। আজ বুধবার মামলাটির শুনানির তারিখ ছিল। আদালতে মামলাটি উঠলে বাদীর আইনজীবী আদালতকে জানান, আসামি সুমনা সরকার ও সাগরিকা সরকার সরকারি চিকিৎসক। তারা সদর থানা ভবনের অদূরেই হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এই শহরেই তারা বিচরণ করেন। অথচ পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। আদালতকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানানো হয়।

এ অবস্থায় বিচারক বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেন এবং ওই মামলার আসামি নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সুমনা সরকার, তার বোন একই হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা সাগরিকা সরকার, করুণা রানী সরকার, বাবা সুনীতি রঞ্জন সরকার এবং সহযোগী মো. মাসুমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

শুধু তাই নয়, শুনানি শেষে বিচারক এজলাসে বসেই সদর থানার ওসিকে ফোন দেন। তিনি বাদীর অভিযোগ শোনেন। বিচারক আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার আদেশ দেন। অন্যথায় এ ব্যাপারে আদেশের অনুলিপি ডিআইজি ও আইজিপি বরাবর পাঠানো হবে বলেও হুঁশিয়ার করে দেন। একই সঙ্গে নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি রুহুল আমীন তালুকদারসহ বাদীর আইনজীবীদের বিষয়টি নাটোরের পুলিশ সুপারকে অবহিত করার পরামর্শ দেন।

সুত্র আরো জানায়, গত ২০ এপ্রিল আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা নাটোরের পুলিশ সুপার বরাবর পাঠানো হয়। কিন্তু সদর থানা আসামিদের গ্রেফতার করছে না। পরে ২০ মে মামলার বাদী থানায় গিয়ে ওসিকে গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলের অনুরোধ করেন। তবুও আসামিদের গ্রেফতার করা হয়নি।

নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি রুহুল আমীন তালুকদার বাংলানিউজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহম্মেদ আদালত থেকে মোবাইল ফোনে বিচারকের আদেশ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান,ওই মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলামের কাছে আছে। তবে তিনি সাতদিনের ছুটিতে থাকায় তামিল করা বিলম্ব হচ্ছে। ইতোমধ্যে আদালত থেকে ফের গ্রেফতারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাই দ্রুত আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৪ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২২
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।