ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তামাক পণ্যের কর বাড়ানোর দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২২
তামাক পণ্যের কর বাড়ানোর দাবি সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য (এমপি) ডা. হাবিবে মিল্লাত। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে আসন্ন বাজেটে তামাক পণ্যের মূল্য বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের উদ্যোগে প্রাক-বাজেট আলোচনায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

ঢাকা আহছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন আক্তার রিনির সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের পরিচালক (গবেষণা) আবদুল্লাহ নাদভী।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গঠনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তখন এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য বর্তমান শুল্ক কাঠামো সহজ করা এবং সরকারের শুল্ক আয় বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন তিনি। আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে শতকরা হিসেবে নিম্ন স্তরের সিগারেটের দাম সর্বোচ্চ পরিমাণে বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। কারণ ২০২০-২১ অর্থবছরের হিসাব অনুসারে মোট যে সিগারেট বিক্রি হয় তার সবচেয়ে বড় অংশ (৭৫ শতাংশ) হলো নিম্ন স্তরের সিগারেট।

প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়নের সম্ভাব্য ফলাফল হিসেবে বলা হয়, সরকার যদি তামাক কর বাড়ায় তবে সিগারেট ব্যবহারকারীর অনুপাত ১৫ দশমিক এক শতাংশ থেকে ১৪ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ হবে। এতে ১৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক সিগারেটের ব্যবহার ছেড়ে দেবেন ও নয় লাখ তরুণ সিগারেট ব্যবহার শুরু করা থেকে বিরত থাকবেন। এছাড়া আট লাখ ৯০ হাজার অকাল মৃত্যু রোধ করা যাবে। আর সিগারেট বিক্রি থেকে নয় হাজার ২০০ কোটি টাকা বাড়তি রাজস্ব আদায় হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য এবং ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য (এমপি) ডা. হাবিবে মিল্লাত, বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য (এমপি) ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।  

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা, ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে তামাক পণ্যের কর ও মূল্য বাড়ানোর ওপর জোর দেন।

বক্তারা আরও বলেন, কার্যকরভাবে কর আরোপের অভাবে দেশে তামাকপণ্য অত্যন্ত সস্তা এবং সহজলভ্য হয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিগারেটের ব্যবহার প্রায় একইরকম রয়েছে। বর্তমান তামাক কর কাঠামো অত্যন্ত জটিল যা তামাকের ব্যবহার নিরুৎসাহিতকরণের পথে একটি বড় বাধা। আর এজন্য এই কর কাঠামোকে সহজ করতে হবে। এটা করে যথাযথ পদ্ধতিতে তামাক কর বাড়ালে তামাকের ব্যবহার কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. অরূপরতন চৌধুরী, সিটিএফকে বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল ইসলাম এবং তামাকবিরোধী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২২
এনবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad