ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

জমি লিখে না দেওয়ায় বউকে নিয়ে মা-বাবাকে পেটালেন ছেলে

স্টাফ করেসপেন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৯ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২২
জমি লিখে না দেওয়ায় বউকে নিয়ে মা-বাবাকে পেটালেন ছেলে অভিযুক্ত মোক্তার আলী ও স্ত্রী ডালিয়া খাতুন -ফাইল ছবি

সাভার (ঢাকা): ঢাকার ধামরাইয়ে জমি লিখে না দেওয়ায় এবং টাকা ও স্বর্ণ নেওয়ার প্রতিবাদ করায় বৃদ্ধ মা-বাবাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছেলে ও তার স্ত্রীর নামে থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

রোববার (২৯ মে) দুপুরে আহত মা নিজে বাদী হয়ে ছেলে ও তার স্ত্রীর নামে ধামরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এর আগে, শনিবার (২৮ মে) বিকেল ৫টার দিকে ধামরাই উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের আটিপাড়া গ্রামে মো. আছর উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তরা হলেন- মো. আছর উদ্দিনের ছেলে মোক্তার আলী ও তার স্ত্রী কুষ্টিয়া সদরের নারায়নপুর গ্রামের আতিয়ার মন্ডলের মেয়ে ডালিয়া খাতুন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কিছু দিন আগে মো. আছর উদ্দিনের স্ত্রী সুফিয়া বেগম সকালে বাড়ির কাজ শেষ করে মেয়ের বাড়ি আশুলিয়ায় বেড়াতে যান। আছর উদ্দিন গরু জন্য ঘাস কাটতে গেলে সেই সুযোগে তার ছেলে ও ছেলের বউ ঘরে ঢুকে আলমারির তালা ভেঙে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা এবং দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে যান। পরে আছর আলী বাড়িতে এসে দেখেন ঘরের ভেতর আলমারির তালা ভাঙা, টাকা ও স্বর্ণালংকার নেই। তখন তিনি চিৎকার করলে পাশের বাড়ির লোকজন জানান, কিছুক্ষণ আগে তার ছেলে মোক্তার ও তার স্ত্রী ঘরে এসে সব নিয়ে গেছে। এর দুই দিন পর শনিবার আবার স্ত্রীকে নিয়ে মোক্তার আলী ওই বাড়িতে আসেন। এ সময় আছর আলী ও তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম ছেলে ও ছেলের বউকে টাকা ও স্বর্ণের কথা জিজ্ঞাস করেন। তখন ছেলে মোক্তার তার স্ত্রী ডালিয়া খাতুন আছর আলী ও সুফিয়া বেগমকে ঘরের ভেতরে ফেলে মারধর করে জায়গা-জমি লিখে দিতে বলেন। এই সময় চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাদের রক্ষা করেন এবং ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। সেই সুযোগে ছেলে তার স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।

ভিকটিম আছর উদ্দিন বলেন, আমি দেখে-শুনে মোক্তারকে ধামরাইয়ের পাঠান টোলায় বিয়ে করিয়েছিলাম। সেই ঘরে তার দুটি মেয়ে আছে। ওই বউকে বাদ দিয়ে আমাদের না জানিয়ে কুষ্টিয়া জেলার সদর থানায় ফের বিয়ে করে। সেই বউ ও ছেলে মিলে আমাদের মাঝে মধ্যে মারধর করে। এ জন্য এলাকার লোকজন একাধিকবার সালিশি করে দিলে ও তারা মানে না। আবার আমাদের মারধর করে।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বদিউজ্জামান বলেন, বাবা-মাকে মারধরের একটি অভিযোগ পেয়েছি।   তদন্ত করে ঘটনা সত্য হলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২২
এসএফ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।