ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ইমাম খোমেনি ছিলেন বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের নেতা

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২২
ইমাম খোমেনি ছিলেন বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের নেতা

ঢাকা: ইমাম খোমেনি ছিলেন বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের অবিসংবাদিত নেতা। তিনি ইসলামী বিপ্লব প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বের অসহায় ও বঞ্চিত মানুষের জন্য আশার আলো যুগিয়েছেন।

তিনি চিন্তা ও সৃষ্টিশীলতার জগতে এত বেশি বিষয়ের সমন্বয় ঘটিয়েছেন যা সত্যিই বিস্ময়কর। তিনি শুধু ইরানকে নয়, বরং গোটা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ইসলামী বিপ্লব আজ বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের জন্য উন্নয়নের এক রোল মডেল।

শনিবার (৪ জুন) সাবেক এই ইরানি নেতার ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত এই ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সাউথ-ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আ ন ম মেশকাত উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে ইরান দূতাবাসের হেড অব মিশন আলী পিরি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দর্শন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশেরর উপাচার্য প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইমাম খোমেনি ছিলেন একাধারে দার্শনিক, ফকিহ, রাজনৈতিক নেতা এবং আধ্যাত্মিক সাধক। তার ইরফানি ব্যক্তিত্ব অন্য সব গুণের চাইতে বেশি সমাজকে প্রভাবিত করে।

ইমাম খোমেনি এমন একজন নেতা ছিলেন, যিনি রাজনীতিকে ধর্মের জন্য, ক্ষমতাকে জনগণের জন্য, আর সমস্ত কিছুকে আল্লাহর জন্য চাইতেন। আল্লাহকে অন্বেষণ, খোদাভীতি আর মানুষের প্রতি ভালোবাসা- এই তিন বৈশিষ্ট্য ছিল তার সাফল্যের রহস্যকথা এবং জনগণের মাঝে তার উচ্চ মর্যাদার কারণ। তিনি জনগণের হৃদয় শাসন করতেন।

তার আদর্শ ও চিন্তাধারা ছিল তাওহিদি চিন্তাধারা ও হোসাইনি আন্দোলন থেকে বিচ্ছুরিত আলোকরশ্মি। যে চিন্তাধারার উৎস ছিল অনন্ত অসীম মহান আল্লাহর সঙ্গে সম্পৃক্ত।

বক্তারা আরও বলেন, ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে গত ৪৩ বছরে ইরান যত উন্নয়ন করেছে এবং অর্থনৈতিক, সামরিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ নানা খাতে যেসব অগ্রগতি লাভ করেছে, তার সবই ইমাম খোমেনির আত্মপরিচিতি ও আত্মবিশ্বাসের অনুপ্রেরণার কাছে ঋণী।

ইমাম খোমেনি সাংস্কৃতিক পরিবর্তনে বিশ্বাস করতেন। তিনি একদিকে যেমন অশুদ্ধ ও সাম্রাজ্যবাদী লেজুড় সংস্কৃতি প্রত্যাখ্যান করতেন, পাশাপাশি বিশুদ্ধ সংস্কৃতিকে খোদায়ী বলে মনে করতেন। তিনি সংস্কৃতির পরিবর্তনে স্বদেশি পণ্য ব্যবহারে, সাংস্কৃতিক উন্নয়নে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সাংস্কৃতিক চিন্তা-চেতনায় আত্মবিশ্বাসের ওপর অত্যধিক গুরুত্বারোপ করতেন।

তার সাংস্কৃতিক উপাদানকে যে কোনো সমাজের সংস্কারের উপায় বলে মনে করতেন এবং স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমাজে সংস্কৃতি গঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা হিসেবে গণ্য করতেন।

ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সলর ড. সাইয়্যেদ হাসান সেহাতের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবির ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান, বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও ইসলামী চিন্তাবিদ ড. ঈসা শাহেদী, খুলনায় অবস্থিত ইসলামি শিক্ষা কেন্দ্রের প্রিন্সিপাল হুজ্জাতুল ইসলাম সাইয়্যেদ ইব্রাহিম খলিল রাজাভী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২২
টিআর/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।