ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাত পোহালেই ভোটযুদ্ধ, নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ভাঁড়ারা

ডিষ্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২২
রাত পোহালেই ভোটযুদ্ধ, নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ভাঁড়ারা

পাবনা: পাবনার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের স্থগিত হওয়া ইউপি নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। রাত পোহালেই আলোচিত এ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

গত ডিসেম্বরে প্রচারণাকালে এক সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহতের ঘটনায় দেশব্যাপী আলোচনায় আসে ইউনিয়নটি। এ কারণে এবার ভাঁড়ারার দিকে তাকিয়ে পাবনাবাসীসহ পুরো দেশ। তাই অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন। আর নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে স্মরণকালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন।

আতঙ্কের জনপদ খ্যাত এ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন দুইজন প্রার্থী। আর নয়টি সাধারণ ও তিনটি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ৫৩ জন। এর মধ্যে নারী সদস্য পদে ১৩ জন এবং পুরুষ সদস্য পদে রয়েছেন ৪০ জন প্রার্থী। এছাড়া ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্র করা হয়েছে ১৬টি ও বুথ ১০৪টি। এর সবগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ ধরে প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন ১৪ জন করে।

পাবনার পুলিশ সুপারের তদারকিতে শুধুমাত্র এ ইউনিয়নেই দায়িত্ব পালন করবেন চারজন এডিশনাল এসপির নেতৃত্বে চারটি সেক্টর টিম। আরও থাকবে দুই প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের দুইটি টিম, ফায়ার সার্ভিসের দুইটি টিম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ১১ জন, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মোবাইল টিম ১৬টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স আটটি, চেকপোস্ট চারটি এবং সিটিইউটি টিম থাকবে দুইটি। এছাড়াও ১২ জনের একটি রিজার্ভ টিমসহ সব মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।

পাবনা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা কায়সার আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, শান্তিপুর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে একটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য এতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়নি। বলতে গেলে ৩-৪টি ইউনিয়ন পরিষদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে শুধু এ ইউনিয়নকে ঘিরে।

পাবনা পুলিশ সুপার (এসপি) মহিবুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। পুলিশের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে যা যা করা প্রয়োজন তার সবই করবে প্রশাসন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১১ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণার সময় পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাঈদ খান (৫২) ওরফে সাঈদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলম (৩৫) নিহত হন। এ ঘটনায় ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের সব (চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য, সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য) পদের নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। পরে গত ২৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন থেকে ১৫ জুন ভোটগ্রণের তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।