ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ধর্ষণের পর আত্মগোপনে চলে যেত ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’ শামীম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২২
ধর্ষণের পর আত্মগোপনে চলে যেত ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’ শামীম

ঢাকা: পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় স্কুলছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের ঘটনার আসামি সিরিয়াল রেপিস্ট শামীম হোসেন মৃধাকে (৩২) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৮।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, গত ১১ জুন পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় এক স্কুলছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই সিরিয়াল রেপিস্ট শামীম ঢাকায় পালিয়ে এসে আত্মগোপনে যায়। এর আগেও একাধিক ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত ছিল শামীম।

শুক্রবার (১৭ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, ভান্ডারিয়ায় আলোচিত ধর্ষণের ঘটনার পর র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-৮ এর গোয়েন্দা নজরদারির ধারাবাহিকতায় ধর্ষক মো. শামীম হোসেন মৃধাকে (৩২) গ্রেফতার করে। শামিম ওই ধর্ষণের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে নিজের দায় স্বীকার করেছে।

র‌্যাব কমান্ডার আরও জানান, ভান্ডারিয়ায় স্কুল পড়ুয়া ওই ছাত্রীকে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ধারালো অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় শামীম। এর পর পরই সে ঢাকায় এসে আত্মগোপন করে।

গ্রেফতার শামীম একজনকে সিরিয়াল রেপিস্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৫ সালে ২৬ জানুয়ারি ভান্ডারিয়ার এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে গভীর রাতে ঘরের দরজা ভেঙে ধর্ষণের চেষ্টা করে শামীম। ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর একই এলাকার মাদ্রাসার ছাত্রীকে রামদা দিয়ে হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। একইভাবে ২০২১ সালে ১০ অক্টোবর আরেক মাদ্রাসার ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করে শামিম।

এসব ঘটনায় ভান্ডারিয়া থানায় বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া আরও কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনায় সে জড়িত বলে জানা যায়। কিন্তু ভিকটিমরা লোকলজ্জা ও সামাজিক মর্যাদাহানির ভয়ে মামলা করা থেকে বিরত থাকেন।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, শামীম ঢাকার বাবুবাজার ও গাবতলী এলাকায় সিএনজি এবং প্রাইভেটকার চালক হিসেবে কাজ করে। ১৬ বছর বয়সে সে এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, মাদক সেবন ও মাদক কেনাবেচার মাধ্যমে অপরাধ জগতে প্রবেশ করে। বিভিন্ন এলাকায় নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ অন্যান্য কর্মকাণ্ডের পর সে আত্মগোপনে চলে যেত।

তিনি বলেন, গ্রেফতার এড়াতে শামীম এক স্থানে বেশিদিন অবস্থান করতো না। তার নামে বিভিন্ন থানায় ধর্ষণ, হত্যাচেষ্টা ও মাদকসহ সর্বমোট দশের অধিক মামলা রয়েছে। ইতোপূর্বে ধর্ষণ ও অন্যান্য মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে ৪/৫ বার কারাভোগ করেছে। শামীমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানার মামলায় ৬টি গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২২
পিএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।