গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী মুক্তা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (১৯ জুন) রাতে উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের ধোড়ার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ধোড়ার গ্রামের ইয়ার আলী শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (৪০) দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার একটি হোটেলে বাবুর্চির কাজ করতেন। এ সময়ে ফরিদ শেখের স্ত্রী মুক্তা বেগম (৩৫) একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই কলহ লেগে থাকত।
ঘটনার রাতে ফরিদ শেখের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর রাতে মারা যায় ফরিদ শেখ।
ফরিদ শেখের বাবা ইয়ার আলী শেখ বলেন, আমার ছেলে ফরিদ ঢাকায় বাবুর্চির কাজ করত। করোনার সময়ে সে স্থায়ীভাবে বাড়িতে এসে বসবাস শুরু করে। বাড়িতে আসার পর থেকেই আমার ছেলের সঙ্গে পুত্রবধূ মুক্তার প্রায়ই ঝগড়া হতো। মুক্তা বিভিন্ন সময়ে আমার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিত। এ ঘটনায় আমার ছেলে কোটালীপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রিও (জিডি) করেছিল। আমার ধারণা মুক্তাই আমার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তা বেগমের অত্যাচারে আমরা ফরিদের বাড়িতে থাকতে পারতাম না। ফরিদের বাড়ির পাশেই আমরা বাড়ি করে সেখানে বসবাস করছি। ঘটনার রাতে ফরিদের চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি সে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে আর মুক্তা তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, কে বা কারা ফরিদ শেখকে হত্যা করেছে সেটি এখনো জানা যায়নি। তবে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী মুক্তা বেগমকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার কারণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
আরএ