ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বকশীগঞ্জে নদী ভাঙন হুমকিতে কুশলনগর-সাজিমারা গ্রাম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৫ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২২
বকশীগঞ্জে নদী ভাঙন হুমকিতে কুশলনগর-সাজিমারা গ্রাম

জামালপুর: মাত্র ৬ ঘণ্টা আগেও ছিল বাড়ি, ছিল ঘর। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সেখানে থৈ থৈ করছে পানি।

হারিয়ে যাওয়া মাথার গোঁজার ঠাঁই টুকু দেখছেন বৃদ্ধা হাজেরা বেগম।

তীব্র নদী ভাঙনে তিনি আজ নিঃস্ব। ফসলি জমি আগেই খেয়েছে রাক্ষসী দশানী নদী, শেষ আশ্রয় টুকুও নিয়ে গেল আজ।
দশানীর করাল গ্রাসে জামালপুরের নিলক্ষিয়া ইউনিয়নে সাজিমারা ও কুশলনগর গ্রামে চলছে তীব্র নদী ভাঙন।

বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের কুশলনগর গ্রামে দুইদিন আগে হঠাৎ করে ভাঙন শুরু হয়। দশানী নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে মানুষ তাদের বসতবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। ভাঙনের কবলে পড়ে দুইদিনে কুশলনগর গ্রামের ত্রিশটি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বিলীন হয়েছে ফসলি জমি ও গাছপালা। ভাঙন হুমকির মুখে রয়েছে পুরো কুশলনগর ও সাজিমারা গ্রাম, হাট-বাজার, বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গাছপালা ও ফসলি জমি।

ভাঙন কবলিত এলাকাবাসী বলছেন, নদী ভাঙনে তাদের বসতবাড়ি, ফসলি জমি দশানী নদী গর্ভে বিলীন হলেও ভাঙন প্রতিরোধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন। প্রশাসনের সহযোগিতা না পেয়ে নদীর তীরে দাঁড়িয়ে ভাঙন রোধে সহায়তা চাইছেন আল্লাহর।

বন্যার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বকশীগঞ্জ উপজেলার শুধু নিলক্ষিয়াতেই নয়, সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বাংগাল পাড়া, কতুবেরচর, চর আইরমারী, মেরুরচর ইউনিয়নের কলকিহারা গ্রাম, টুপকার চরেও তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ২০ জুন এসব নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে ত্রাণ বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনমুন জাহান লিজা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মজনুর রহমান ও ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ অন্যান্যরা।

সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু জানান, তার ইউনিয়নের বাংগাল পাড়া ও কতুবেরচর গ্রামে গত সাতদিনে জিঞ্জিরাম নদীর ভাঙনে ২০টি পরিবারের বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের শিকার এসব পরিবার অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। বসত ভিটা হারিয়ে নিম্নআয়ের এসব পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনমুন জাহান লিজা জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নদী ভাঙনের শিকার পরিবারকে ১০ কেজি  করে  চাল  দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন হলে বন্যাদুর্গত এলাকায় আরও ত্রাণ বিতরণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।