ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পরিবার পরিকল্পনার আওতায় আসছে রোহিঙ্গারা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৪ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২২
পরিবার পরিকল্পনার আওতায় আসছে রোহিঙ্গারা ফাইল ছবি

ঢাকা: বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের চিকিৎসায় কক্সবাজারে হচ্ছে বিশেষায়িত হাসপাতাল। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের পরিবার পরিকল্পনা সেবার আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসান।

কক্সবাজারের উখিয়াতে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের অর্থায়নে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরির জন্য বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সচিবালয়ে সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্ম হার নিয়ন্ত্রণে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে সচিব বলেন, আমাদের হিসাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিবছর কম বেশি ৩৫ হাজারের মতো নতুন শিশু জন্ম নেয়। সেখানে আমাদের দেশে প্রচলিত পরিবার পরিকল্পনা সেবা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের কিছুটা ধর্মীয় অনুভূতি আছে, তারা এটা করতে চায় না। তবে এমন নয় যে, তাদের জোর করে করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের মোটিভেট করে, তাদের বুঝিয়ে এ কাজে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। আমাদের জন্য আশার কথা হলো তারাও এ কাজে আগ্রহী হচ্ছে।

বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রসঙ্গে ত্রাণ সচিব বলেন, আমরা উখিয়াতে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল করতে যাচ্ছি। বাংলাদেশে অবস্থানরত বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের এবং স্থানীয় বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্য সেবা আরও উন্নত করার জন্যই এটা করা হচ্ছে। ১৭,৫০০ বর্গফুটের হাসপাতাল হবে। এখানে কক্ষ সংখ্যা ৬০টি। এখানে চোখের চিকিৎসা, দাঁতের চিকিৎসাসহ অন্যান্য অপারেশন হবে। এখানে টেলিমেডিসিনের ব্যবস্থাও থাকবে। এই হাসপাতালে অত্যাধুনিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।

বস্তিবাসী বা দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা বাংলাদেশিদের জন্য এ ধরনের স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার কোনো উদ্যোগ আছে কিনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, সারা দেশে আমাদের প্রাইমারি হেলথ কেয়ার, সেকেন্ডারি হেলথ কেয়ার আর টার্সিয়ারি হেলথ কেয়ার—এই তিন ধরনের স্বাস্থ্যসেবা আছে। প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের সেন্টারগুলো আমাদের গ্রামেগঞ্জে অবস্থিত। শহরে আমাদের প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টার নেই। এর কারণ স্থানীয় সরকারের ম্যান্ডেট আছে শহুরে মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা তারা দেবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক ঘাটতি আছে। তবুও তারা চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২২
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।