ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেল ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২২
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেল ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স তিন মাস ২০ দিন পর আবারও খোলা হয়েছে। এরপর গণনা করে তিন কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা পাওয়া যায়।

এছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গেছে।  

শনিবার (০২ জুলাই) সন্ধ্যার আগে গণনা শেষে দানের টাকার এ হিসাব পাওয়া যায়।  

এর আগে সকালে মসজিদের ৮টি দানবাক্স খোলা হয়। দানবাক্সগুলো খোলার পর টাকাগুলো প্রথমে ছোটবড় ১৬টি বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী গণনার কাজ।

সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। এবার তিন মাস ২০ দিন পর মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উবায়দুর রহমান সাহেলসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দিন ভূঞা ও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যসহ সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টাকা গণনা কাজ তদারকি করেন।  

শনিবার (০২ জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে জানান, দানবাক্সগুলো খোলার পর টাকাগুলো গুনে নগদ তিন কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা পাওয়া যায়। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে। আর যে স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে তা আগের স্বর্ণালঙ্কারের সঙ্গে যোগ করে দানের বাক্সে রেখে দেওয়া হয়েছে।  

এছাড়াও দানে পাওয়া ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রতি সপ্তাহেই নির্ধারিত দিনে নিলামে বিক্রি করা হয় বলেও জানান তিনি।  

সর্বশেষ চলতি বছরের (২০২২ খ্রি.) ১২ মার্চ মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে গণনা করে করে তিন কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা পাওয়া যায়।

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।  

সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন। দানবাক্সে পাওয়া টাকা সাধারণত কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলদের পরামর্শে বিভিন্ন মসজিদে দান-খয়রাত, মাদরাসার উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।