রাজশাহী: চুরি করার পর সুকৌশলে পাল্টে ফেলা হতো মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর। এরপর সেই চোরাই ফোন বিক্রি করে দেওয়া হতো।
আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রি করার দায়ে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত ওই যুবককে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাকে জরিমানা করা হয়েছে এক লাখ টাকা। অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড।
সোমবার (০৪ জুলাই) রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায় কোর্ট পুলিশ।
এ দিন দুপুরে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম মিজানুর রহমান (৩০)। তিনি বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার পাতাঞ্জ গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়ার তালোড়া বাজারে ‘মিজান মোবাইল সার্ভিসিং’ নামে তার সার্ভিসিংয়ের দোকান আছে।
রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইসমত আরা বাংলানিউজকে বলেন, মিজানুর রহমান নিজের মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানে আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করতেন। এজন্য তিনি একটি বিশেষ ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্র ‘মিরাক্কেল বক্স’ ব্যবহার করতেন বলে পুলিশি তদন্তে এই তথ্য বের হয়ে আসে। এর মাধ্যমে তিনি চোরাই মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পাল্টিয়ে বিক্রি করতেন। ফলে পুলিশ ওই চোরাই মোবাইল শনাক্ত করতে পারতো না। আর তিনিও থাকতেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এরপর ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর দুপচাঁচিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুস সালাম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই দোকানে অভিযান চালান। এ সময় তিনি একটি মিরাক্কেল বক্স, দুটি মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারসহ মিজানুরকে আটক করেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মিজানুরের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন এসআই আবদুস সালাম। তদন্ত শেষে ওই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পুলিশ। এরপর মিজানুরের বিচার শুরু হয়।
রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনানাক আদালতে বিচার চলাকালে এই মামালায় মোট ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এতে অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। পরে উভয় পক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক শেষে সোমবার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার তাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২২
এসএস/এমজেএফ
