ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সুরক্ষা নীতিমালা বাস্তবায়ন না হওয়ায় হচ্ছে গৃহকর্মী নির্যাতন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২২
সুরক্ষা নীতিমালা বাস্তবায়ন না হওয়ায় হচ্ছে গৃহকর্মী নির্যাতন

ঢাকা : বর্তমান সরকারের উদ্যোগে গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা-২০১৫ প্রণয়ন করা হলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে গৃহকর্মীদের ওপর প্রতিনিয়ত নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে বলে শিশু অধিকার বিষয়ক এক সংলাপে বলা হয়েছে।

সোমবার (৪ জুলাই) ‘একজন গৃহকর্মীও নির্যাতিত হবে না’- অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) কর্তৃক পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবে আয়োজিত ডেভেলপমেন্ট অব চিলড্রেন অ্যাট হাই রিস্ক (ডিসিএইচআর) প্রকল্পের উদ্যোগে ‘‘গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুর অধিকার ও সুরক্ষা: আইনের প্রয়োজনীয়তা” শীর্ষক এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন।

টুকু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশু বান্ধব আইন ও নীতিমালার সংশোধন এবং পরিমার্জন করেছেন। জাতির পিতার অসাধারণ প্রজ্ঞার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জনের অব্যবহিত পরেই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হয়।

তিনি আরও বলেন, সংবিধানের সকল নাগরিকের সঙ্গে শিশু অধিকার নিশ্চিতের কথাও বলা হয়েছে। বর্তমান শিশু বান্ধব সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারেও শিশুদের সার্বিক কল্যাণে করণীয় নির্ধারিত রয়েছে। এবং বঙ্গবন্ধু কন্যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সেসব বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

সংলাপে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, মো. রেজাউল করিম বাবলু, সৈয়দা রুবিনা আক্তার ও গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার।

সংলাপে বক্তারা বলেন, গৃহকর্মীদের অধিকার নিশ্চিত ও নির্যাতন প্রতিরোধে বর্তমান সরকারের উদ্যোগে গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা-২০১৫ প্রণয়ন করা হলেও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে গৃহকর্মীদের উপর প্রতিনিয়ত নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে।

তাই তারা শিশুদের প্রতি সহিংসতা রোধ ও অধিকার নিশ্চিত করতে নীতিমালার পাশাপাশি শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর গঠনের আহ্বান জানান।

এএসডির প্রকল্প পরিচালক হামিদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা সংলাপে অংশ নেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, এএসডির নির্বাহী পরিচালক এম এ করিম, বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের আব্দুস শহীদ মাহমুদ, ডন ফোরামের মাহবুবুল হক, আইএলওর সৈয়দা মুনিরা সুলতানা, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের নিখিল ভদ্র, স্ক্যান-বাংলাদেশের মনিরুজ্জামান মুকুল, এসওএস শিশু পল্লীর নুসরাত জাহান, ফেইথ ইন একশনের নৃপেন বৈদ্য, এডুকোর হালিমা আক্তার এতে বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময় : ২১০০ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২২
এসকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।