ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

দুর্নীতি মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫২ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২২
দুর্নীতি মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে ৩৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় নান্দাইল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম ভূইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ময়মনসিংহের স্পেশাল জজ আদালতের (জেলা দায়রা ও জজ আদালত) বিজ্ঞ বিচারক শাহাদাত হোসেন এ অভিযোগ গঠন করেন।

সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক। এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের ভেতরে-বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

এ সময় সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত হয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আইনজীবীর মাধ্যমে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানান। তার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ফজলুল হকসহ আরও কয়েকজন।

তবে আদালতের বিজ্ঞ আদালত আসামি পক্ষের আবেদন নামঞ্জুর করে আসামির বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ গঠন করে আগামী ১৭ আগষ্ট স্বাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করেন।

দুদক আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সঞ্জীব সরকার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ৩৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মো. সিরাজুল ইসলাম ভুইয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। পরে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২) এবং ৪ (৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ওই বছরের ২০ আগষ্ট বিজ্ঞ আদালত থেকে তিনি জামিন পান এবং বর্তমানেও তিনি জামিনে আছেন।

সর্বশেষ চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক ময়মনসিংহের তৎকালীন সহকারী পরিচালক একেএম বজলুর রশিদ সিরাজুল ইসলাম ভূইয়াকে অভিযুক্ত করে বিজ্ঞ আদালতে চার্জসিট দাখিল করেন।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, সিরাজুল ইসলাম ভুইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ সম্পদ আত্মসাৎ করে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত এ সম্পদ অর্জন করেছেন। ফলে ওই সম্পদ অর্জনে বৈধ কোনো আয়ের উৎস এবং প্রমাণ দেখাতে তিনি ব্যর্থ হন।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন সিরাজুল ইসলাম ভুইয়া। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে স্থানীয় একটি মহল ষড়যন্ত্র করে এ মামলাটি করিয়েছে।  মামলার তদন্তে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করার কোনো প্রমাণ নেই।

তিনি আরও বলেন, একটি জমি কেনার সময় আমার কিছু টাকা ঋণ ছিল। ওই সংক্রান্ত স্ট্যাম্প আছে। কিন্তু তদন্তে ওই স্ট্যাম্প প্রমাণ হিসেবে গ্রহন করা হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।