গাবতলী থেকে: পশুর হাট থেকে পছন্দের পশু কিনে বের হতেই ইউটিউবারদের কবলে পড়তে হচ্ছে ক্রেতাদের। পশুর হাসিল দেখাবেন নাকি ইউটিউবারদের প্রশ্নের জবাব দেবেন, তাই নিয়ে বিড়ম্বনা পড়ছেন তারা।
গাবতলী পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। গত চার দিনে দেখা গেছে, গাবতলী পশুর হাটের প্রধান গেট দিয়ে কোরবানির পশু নিয়ে বের হওয়ার সময় ক্রেতাদের ঘিরে ধরেন একদল ইউটিউবার। গরু নিয়ে আসতে দেখলেই ক্রেতাদের ঘিরে ধরছেন তারা। দাম কত বলে ভিডিও করতে শুরু করেন। দাম না বলা পর্যন্ত ক্রেতাদের পেছনে দৌড়াতে থাকেন তারা।
টঙ্গী থেকে গাবতলীতে গরু কিনতে এসেছেন মো. তুষার। তিনি বলেন, আমি গরু কিনেছি ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে। গরু কিনে গাবতলী হাটের গেট দিয়ে বের হওয়ার পরেই আমাকে ঘিরে ধরেছেন ইউটিউবাররা। এরা জানতে চাইছেন দাম কত, ওজন কত হবে, কোথায় যাবো নানা বিষয়। বলেন তো হাসিল দেব নাকি এদের প্রশ্নের জবাব দেব?
দৈনিক সংবাদের প্রতিবেদক শফিউল আল ইমরান বাংলানিউজকে বলেন, ইউটিউবারদের ঝামেলায় কোথাও গিয়ে কাজ করতে পারি না। শুধু পশুর হাট নয়, বড় বড় ইভেন্টের স্পটে এরা ঝামেলা করেন। এদের জন্য সঠিক তথ্য তুলে আনতে আমাদের মাঝে মাঝে অনেক বেগ পোহাতে হয়।
অভিযোগ করে তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ইউটিউবারদের জন্য নীতিমালা করা উচিত। না হলে গণমাধ্যমকর্মীরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না।
গাবতলী পশুর হাটে আসা মো. মামুন নামে এক ইউটিউবারকে ভিডিও করতে দেখা যায়। গরুর দাম কত, ওজন কত, তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে দেখা যায় হাটে আসা ক্রেতাদের। তার সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছি। গাবতলীতে এসেছি ব্লগ বানাতে। আমার ২ হাজার ফলোয়ার আছে। দুইটা ইউটিউব চ্যানেল আছে আমার।
উল্টো প্রতিবেদককে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, আপনি সাংবাদিক আপনার ক্যামেরা কোথায়? আপনি কী কাজ করছেন, কী ভিডিও করছেন দেখান?
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২২
এমএমআই/এমজেএফ