ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৮টায়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২২
খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় ফাইল ছবি

খুলনা: খুলনায় পবিত্র ঈদ-উল-আযহা যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ঈদুল আযহার প্রধান জামাত রোববার (১০ জুলাই) সকাল আটটায় খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।

 

জামাতে ইমামতি করবেন টাউন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহম্মদ সালেহ। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে খুলনা টাউন জামে মসজিদে সকাল আটটায় প্রথম ও প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সেক্ষেত্রে টাউন জামে মসজিদে দ্বিতীয় জামাত সকাল নয়টায় এবং তৃতীয় ও শেষ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে।  

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডে সিটি কর্পোরেশনের সহায়তায় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে পৃথকভাবে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ঈদের দিন সব সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবনে যথাযথভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং সূর্যাস্তের পূর্বে নামানো হবে। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কসমূহ ও গুরুত্বপূর্ণ চত্বর, সড়কদ্বীপ ও সার্কিট হাউস ময়দান জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারক (বাংলা ও আরবি) খচিত ব্যানার দিয়ে সজ্জিত করা হবে।  

ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্র বিশেষ অনুষ্ঠানমালা এবং স্থানীয় সংবাদপত্রসমূহ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে। বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে এ উপলক্ষে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। খুলনা জেলা ও মহানগর এলাকায় কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে পশুর হাট স্থাপন করা যাবে না। জেলার ২৮টি পশুর হাটে প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে মেডিকেল টিম কাজ করবে। পরিবেশ দূষণরোধে নির্দিষ্ট স্থানে সব পশু কোরবানি/জবাই করতে হবে।

ঈদে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে মহানগর ও মহানগরের বাইরের বিভিন্ন স্পটে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবে। ঈদুল আযহার সময় আতশবাজি ও পটকা ফোটানো, রাস্তা বন্ধ করে স্টল তৈরি, উচ্চস্বরে মাইক, ড্রাম বাজানো, রঙিন পানি ছিটানো এবং বেপরোয়াভাবে মোটর সাইকেল চালানো যাবে না।

ঈদের সময় অজ্ঞান ও মলম পার্টি, ছিনতাইকারী ও পকেটমারদের তৎপরতা বন্ধে টার্মিনাল সংযোগ সড়ক, রেলস্টেশন, বাস ও নৌযান টার্মিনালসমূহে সাদা পোশাকধারী পুলিশ মোতায়েন থাকবে এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। জাল টাকার বিস্তাররোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

প্রধান জামাত অনুষ্ঠানের সময় মুসল্লিদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য জেলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন আউটার স্টেডিয়াম সংরক্ষিত থাকবে। মুসল্লিদের অযুর জন্য পানির ব্যবস্থাও রাখা হবে। বাস, লঞ্চ, স্টিমারে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী উঠতে না পারে এবং বেপরোয়াভাবে যান চলাচল করতে না পারে তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। জেলার শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নের কোনো সংবাদ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে র‌্যাবের কন্ট্রোল রুমের মোবাইল নম্বর ০১৭৭৭৭১০৬৯৯-এ জানানো যাবে।
উপজেলাসমূহেও স্থানীয়ভাবে অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২২
এমআরএম/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।