খুলনা: পদ্মা সেতু এ অঞ্চলের জন্য জাতির পিতার কন্যার সবচেয়ে বড় উপহার। পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতু নয়, এ সেতু আমাদের আত্মপ্রত্যয়ের জায়গা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ‘খুলনার উন্নয়ন সম্ভাবনা-পরিপ্রেক্ষিত পদ্মা সেতু’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রতিটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাতে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে বাস্তব প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রভাব মোকাবিলা করতে হবে। প্রধান অতিথি মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের কারিগরি দক্ষতা অর্জনে উদ্বুদ্ধ করতে বলেন।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারি ব্রজলাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শরীফ আতিকুজ্জামান। স্বাগত জানান জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. তরুণ কান্তি বোস। অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক এসএম নাজিমউদ্দিন পায়েল ও অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক ড. খান মেহেদী হাসান। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলক কুমার মণ্ডল।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা পদ্মা সেতুর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে কৃষিবান্ধব অর্থনীতির গুরুত্ব তুলে ধরেন। তারা ফরিদপুরের ভাঙ্গা-মোংলা রাস্তা চার লেন যুক্ত করাসহ টেকসই উন্নয়নে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন ও ইকো-টুরিজমে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।
এর আগে সিনিয়র সচিব জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নবনির্মিত গেট উদ্বোধন এবং ৬১ জন চর্মকারকে কাজের সুবির্ধাথে ছাতা হস্তান্তর ও দুস্থদের মধ্যে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২২
এমআরএম/আরবি