ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সারের সংকট নেই, বিকল্প উৎস থেকে সার আনতে হবে: মন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২২
সারের সংকট নেই, বিকল্প উৎস থেকে সার আনতে হবে: মন্ত্রী

ঢাকা: কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, গ্যাসের জন্য স্থানীয় সার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। সারের যে মজুদ আছে তাতে সংকট হবে না।

এজন্য আমাদের আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে। বিকল্প উৎস থেকে আমাদের সার আনতে হবে।

বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুআর্ডের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা বিকল্প উৎস থেকে সার আনার চেষ্টা করছি যাতে যমুনা ফার্টিলাইজার ও চট্টগ্রাম ফার্টিলাইজার দুটোকেই ফাংশনাল করা যায়। এটা নিয়ে আমরা কথা বলছি। যদি গ্যাস না দেয় তাহলে কি হবে? বিদ্যুৎ উৎপাদন না হলে... আমরা বলি যে শিল্প কারখানায় তো দিতেই হবে। এমনি আমাদের ব্যবহারের জন্য ইয়ে হতে পারে। কিন্তু সার কারখানা বন্ধ হলে… সারটা কিসে লাগছে? খাদ্য উৎপাদনে। তখন আমরা খাদ্য কোথায় পাবো? এতে বিরাট ক্ষতি হবে। মূল্যটা আমাদের অনেক বেশি দিতে হবে।  

সারে সংকট হবে না জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সংকট হবে না এ জন্য আমাদের কয়েকটা দেশের (সৌদি আরব ও কাতার) সঙ্গে অ্যাগ্রিমেন্ট রয়েছে। টাকা পয়সার ক্ষতি হবে। আমরা লোকালি যে ইউরিয়া তৈরি করি এটার দাম ১৯ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে এটার দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা। তাহলে আমরা সরকারকে এখনও ১৬ টাকায় ইউরিয়া দিচ্ছি। পৃথিবীর কোনো দেশই এটা দিতে পারবে না। ভারত তো পারেই না।

তিনি বলেন, আমরা পটাশিয়াম, ফসফরাস, বিওপি আগামী বোরো মৌসুমের জন্য পর্যাপ্ত মজুদ করেছি। কোনো সমস্যা নেই। তবে ইউরিয়ায় নিয়ে একটু শঙ্কিত। কারণ গ্যাসের জন্য স্থানীয় সার কারখানায় উৎপাদনটা বন্ধ হয়েছে। কিন্তু আমরা এরই মধ্যে উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। সার উৎপাদন বন্ধ থাকলে আমাদের বিকল্প উৎস থেকে আনতে হবে। আমাদের খরচটা বেশি হবে। কিন্তু যে মজুদ আছে তাতে এখনও সংকটের কথা চিন্তা করছি না। ইউরিয়ার জন্য এখন আমাদের দৌড়াতে হবে। তবে ইউরিয়ার সুবিধা হলো এটা অনেক দেশই উৎপাদন করে।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা ভারত ভায়োলেট করতে পারে। তারা এগুলো কেয়ার করে না। কিন্তু আমাদের গার্মেন্টসের একটি বড় অংশ যায় আমেরিকায়। আগামীকালই তো আমাদের ওপর একটা ‘ইয়ে’ দিয়ে দেবে। আমরা কি সেটা টলারেট করতে পারবো? আমাদের তো সেই ‘ইয়ে’ নেই। এটা বাস্তবতা। আপনাকে তো ডিপ্লোমেটিক হতে হবে। সার বা তেলের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকা উচিত না।  

সরকার এই মুহুর্তে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হওয়ার কথা বলছেন এবং এক ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে এতে কৃষি সেচ বা উৎপাদন ব্যাহত হবে কিনা জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এই মুহুর্তে সেচ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আগামী মৌসুমে দেখা যাক। আমরা আশা করি যুদ্ধ বন্ধ হবে। আর আমাদের এটা নিয়ে কাজ করতে হবে, আমাদের সেচ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২২
জিসিজি/আরআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।