ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বারান্দায় সন্তান প্রসব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২২
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বারান্দায় সন্তান প্রসব

বরিশাল: বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের বারান্দায়  সন্তান প্রসব করেছেন এক গৃহবধূ।

বুধবার (২০ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে জরুরিভাবে সন্তান প্রসবে সহায়তা করেন কর্তব্য পালন শেষে বাসায় ফেরার পথে থাকা এক স্টাফ নার্স।

নিরাপদে ওই গৃহবধূ পুত্র সন্তানের জন্ম দেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের দায়িত্বরতরা।

গৃহবধু বিউটি বেগম (২৫) বরিশাল সদর উপজেলার রায়াপাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের রায়পাশা গ্রামের লোকমান খলিফার স্ত্রী।

বর্তমানে বিউটি বেগম শেবাচিম হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

বিউটি বেগম ও তার শিশু সন্তান সুস্থ রয়েছে জানিয়ে গাইনী ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নার্স ত্রিবেনী রায় বলেন, গৃহবধুকে হাসপাতালের জরুরি ওয়ার্ডের সামনে নিয়ে আসার পর প্রসব বেদনা উঠে। প্রাকৃতিক নিয়মে সন্তান জন্ম দেন তিনি।

ত্রিবেনী বলেন, একজন সিনিয়র ষ্টাফ নার্স কর্তব্য শেষে বাসায় ফেরার পথে প্রসূতির অবস্থা দেখে সন্তান প্রসবে সহায়তা করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী জরুরি বিভাগের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্য সজল জানান, অটোতে গৃহবধুকে নিয়ে আসা হয়। তাকে জরুরি বিভাগের বারান্দায় রেখে স্বজনরা ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে যায়। এ সময় ওই নারী বারান্দার গ্রীল ধরে প্রসব ব্যথায় চিৎকার করে ওঠেন। তখন জরুরি বিভাগ অতিক্রম করা এক নার্স স্থানটি চাদর এনে ঘিরে সন্তান প্রসব করিয়েছেন।

চিকিৎসাধীন গৃহবধূ বিউটি জানান, এটি তার দ্বিতীয় সন্তান। বর্তমানে তিনি ও সন্তান সুস্থ রয়েছেন জানিয়ে বলেন, ভর্তির সময় প্রসব ব্যথা ওঠে সন্তান নিচে নেমে আসে। সন্তানের জন্ম হয়। তখন এক নার্স এসে তাকে সহায়তা করেছেন। ওই নার্স সহায়তা না করলে হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ড পর্যন্ত যেতে যেতে যে কোনো ধরনের বিপদ ঘটতে পারতো।

গৃহবধুর বাবা ইদ্রিস হাওলাদার জানান, বিউটি বেগম তার বাড়ি সদর উপজেলার জাগুয়া ইউপির পাঁচগাও গ্রামে ছিল। দুপুরে সুস্থ হলে অটোরিক্সায় হাসপাতালে আনা হয়। ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আগে সন্তান জন্ম দিয়েছে। মেয়ে ও নাতি সুস্থ বলে জানিয়ে খুশি নানা লিটন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২২
এমএস/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।